Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 11:21 pm

সংঘাত ছাড়াই ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা হয়েছে: প্রতিমন্ত্রী

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: এবারই প্রথম গার্মেন্ট সেক্টরে বড় কোনো সংঘাত ছাড়া শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

গতকাল সোমবার বিকালে রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ ভবনের নুরুল কাদের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে পোশাকশিল্প শ্রমিকদের মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ, চিকিৎসা সহায়তা ও শ্রমিকদের মেধাবী সন্তানদের শিক্ষা সহায়তার চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে বিজিএমইএ। দুই লাখ টাকা করে মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন ২০০ জন এবং ১০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা সহায়তা পাচ্ছেন ৫০০ জন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রথম যেদিন আমি চেয়ারে বসেছি, সেদিন মালিক-শ্রমিকদের নিয়ে সফল একটি সভা করেছিলাম। ওই সভার আলোচনা ছিল ঈদের আগে মালিক ভাইয়েরা শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেবেন। উভয়ের সহযোগিতায় আমরা এ কাজটি করতে সফল হয়েছি। আমি প্রধানমন্ত্রীকে আনন্দের সঙ্গে বলেছি, আমার মনে হয়, এ বছরই প্রথম গার্মেন্ট সেক্টরে বড় কোনো সংঘাত ছাড়া শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়েছে। এর জন্য আমি মালিক ভাইদের ও শ্রমিক ভাইদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী অনেক খুশি হয়েছেন। এ কৃতিত্ব আমার নয়, এটা মালিক-শ্রমিক সবার।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বলতেন, বিশ্ব দুটি ভাগে বিভক্ত। এক হলোÑশোষক এবং দুই হলোÑশোষিত। আমরা এখানে যারা আছি বিজিএমইএ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ সবাই, মালিকরা ও শ্রমিকরা সবাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আদর্শিত।

তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন বঙ্গবন্ধু তার যৌবনের সোনালি দিন ১৪ বছর কারাগারে ছিলেন। তিনি এদেশের মানুষদের ভালোবাসতেন, দেশের গরিব, দুঃখী ও মেহনতি মানুষের পক্ষে কথা বলতেন। এটাই ছিল তার অপরাধ। আমরা সেই নেতার অনুসারী।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মতো ছোট একটি দেশ বিশ্বের গার্মেন্ট সেক্টরে দ্বিতীয় দেশ। আমাদের কর্ম ব্যাপকতা বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয়। আমার মনে হয়, এটা বাঙালিদের জন্য গর্বের জায়গা। সেই জায়গাটাকে আমাদের ধরে রাখতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি নিজেও একজন মুক্তিযোদ্ধা। প্রধানমন্ত্রী আমাকে এখানে বানিয়েছেন। আমি চাই, কোনোভাবেই যেন প্রধানমন্ত্রীর সম্মান ক্ষুণ্ন না হয়, সেভাবেই আমরা কাজ করছি। এখানে কোনো ধরনের বিরক্ত হওয়ার সুযোগ নেই। আমার তো মুক্তিযুদ্ধের সময় মৃত্যু হওয়ার কথা ছিল, আল্লাহ আমার জীবনকে এক্সটেনশন করেছেন। এখানে কোনো অনিয়ম, দুর্নীতি বা স্বজনপ্রীতি কোনো কিছুই করার সুযোগ নেই। আপনারা আমার ওপর আস্থা রাখতে পারেন। আমি আপনাদের (মালিক-শ্রমিক) যেকোনো সমস্যা সমাধানে কাজ করব।

তিনি বলেন, শ্রমিকদের রেশন কার্ডের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। ঈদের পরের মাসে রেশন কার্ড কীভাবে দেয়া হবে, সেই কর্মপরিকল্পনা শুরু হবে।

চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বিজিএমইএ’র প্রেসিডেন্ট এমএম মান্নান (কচি), বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় তহবিলের মহাপরিচালক মোল্লা জালাল উদ্দিন প্রমুখ।