Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 3:03 pm

সংবাদপত্র শিল্প এখন রুগ্ণ হয়ে পড়েছে: এ. কে. আজাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক:সংবাদপত্র শিল্প এখন রুগ্ণ হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) সভাপতি এ. কে. আজাদ। এর অন্যতম কারণ হিসেবে কাগজের উচ্চমূল্য ও বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য খরচ বেড়ে যাওয়াকে দায়ী করেছেন তিনি। এমন পরিস্থিতিতে সংবাদপত্র শিল্পে সরকারি সহযোগিতা দরকার বলে আশা করেন তিনি।

গতকাল সকালে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) আয়োজিত দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় গণমাধ্যমের ভূমিকা, সমস্যা ও সম্ভাবনা বিষয়ে নোয়াবের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নোয়াব সভাপতি বলেন, সংবাদপত্রের আয় বাড়েনি, বিজ্ঞাপন কমে গেছে। এখন বিজ্ঞাপনে ডিসকাউন্ট অনেক দিতে হচ্ছে। পত্রিকা বিক্রি ও বিজ্ঞাপন বাবদ অনেক টাকা অনাদায়ী থাকছে। তাছাড়া কভিডের কারণে অনলাইন সংবাদের প্রতি ঝোঁক বেড়ে যাওয়ায় পত্রিকা বিক্রিও কম হচ্ছে।

তিনি বলেন, কভিডের সময় সরকার বিভিন্ন খাতে প্রণোদনা দিলেও সংবাদপত্র শিল্পে দেয়া হয়নি। প্রণোদনা পাওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবের কাছে নোয়াবের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে। সংবাদপত্র হকারদের জন্য সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়রদের কাছে জায়গা চেয়ে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। সবকিছু ছাপিয়ে এ শিল্প টিকিয়ে রাখতে সংবাদপত্র শিল্পে সরকারি সহযোগিতা আবশ্যক।

এ. কে. আজাদ বলেন, সংবাদপত্রে সার্বিকভাবে ৩৭ শতাংশ কর দিতে হয়। যদিও অন্যান্য শিল্পে ভ্যাটছাড় আছে। নানা খাতে ভ্যাটছাড় থাকলেও সেবা খাতের এ শিল্পকে (সংবাদপত্র) তা দিতে হচ্ছে।

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেনÑডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম, প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, দ্য ফাইন্যান্সিয়াল হেরাল্ডের সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদসহ এফবিসিসিআইয়ের কর্মকর্তারা।