Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 1:12 pm

সংবিধান ও আইনের বাইরে গেলে জাতি পিছিয়ে পড়বে: আইনমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: নির্বাচন ব্যবস্থা ও সরকার গঠন নিয়ে সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই জানিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, এর ব্যত্যয় হলে দেশ আবার পিছিয়ে পড়বে।

জাতীয় সংবিধান দিবস উদযাপনে গতকাল শনিবার রাজধানীর হোটেলে র‌্যাডিসনে লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ আয়োজিত এক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘বিগত অর্ধশত বছরের অভিজ্ঞতা বলে, যখনই বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু প্রবর্তিত সাংবিধানিক শাসন থেকে বিচ্যুত হয়েছে, তখনই দেশে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার ব্যাহত হয়েছে। দেশে অরাজক ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে এবং মৌলিক মানবাধিকার ভ‚লুণ্ঠিত হয়েছে। সর্বোপরি দেশের উন্নয়ন ব্যাহত হয়েছে। তাই অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আগামীতে যা কিছু হবে, সংবিধান ও আইনের মধ্যে থেকেই হতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে আবারও জাতি পিছিয়ে পড়বে।’

তত্ত¡াবধায়ক সরকার চেয়ে বিএনপি ও সমমনাদের আন্দোলনের বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কিছু না বললেও পরোক্ষভাবে এই দাবি নাকচ করেন আনিসুল হক। তিনি বলেন, ‘সংসদ কীভাবে গঠিত হবে, সরকার কীভাবে গঠিত হবে, নির্বাচন কীভাবে অনুষ্ঠিত হবে তার সব বিধান সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।’

বঙ্গবন্ধু তার দেয়া সংবিধানে জনগণকে প্রজাতন্ত্রের সব ক্ষমতার মালিক বানিয়েছেন উল্লেখ করে আনিসুল হক বলেন, ‘সংবিধানের ২৬-৪৭ অনুচ্ছেদে মৌলিক অধিকারের বিধান সন্নিবেশ করা হয়েছে। সেখানে সব নাগরিকের সুযোগের সমতা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্বাধীনতা-পরবর্তী বঙ্গবন্ধুর প্রতিটি পদক্ষেপই ছিল নিয়মতান্ত্রিক এবং আইনের আওতায়। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফেরার পরের দিনই তিনি অস্থায়ী সংবিধান আদেশ জারি করেছিলেন এবং এই সংবিধানের আওতায় তিনি প্রধানমন্ত্রিত্ব গ্রহণ করেছিলেন।’

সেমিনারে জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, আইন কমিশনের সদস্য বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীর, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার উপস্থিত ছিলেন।

ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা উদ্বোধন ১২ নভেম্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ১২ নভেম্বর নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় নবনির্মিত ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম এ কারখানায় বার্ষিক ৯ লাখ ২৪ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদিত হবে।

শিল্প মন্ত্রণালয় সূত্রে আরও জানা গেছে, দেশের অভ্যন্তরে সারের ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি আমদানিনির্ভরতা কমাবে এ সার কারখানা। সার কারখানার কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। কারখানাটি চালু হলে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থান হবে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের।

২০১৮ সালের ২৪ অক্টোবর সরকার উদ্যোগ নেয় উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন, শক্তি সাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব ও আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর একটি সার কারখানা নির্মাণের। এরপর ২০২০ সালের ১০ মার্চ ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। যার দায়িত্ব পায় সিসি সেভেন নামে একটি চীনা এবং জাপানের মিৎসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। দুই প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার দুই মাস আগেই এর কাজ পুরোপুরি শেষ। এখন পরীক্ষামূলক সার উৎপাদন করছে কারখানাটি।

দুই মাস আগে কারখানাটি চালু হওয়ায় ৩৫০ থেকে ৪০০ কোটি টাকার অতিরিক্ত সার উৎপাদন হবে। ১১০ একর জমির ওপর নির্মাণাধীন এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫ হাজার পাঁচশ কোটি টাকা। এখান থেকে বছরে উৎপাদন হবে ১০ লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার। প্রতিদিন ২ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদনে সক্ষম দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ অত্যাধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর সার কারখানাটি।