রুবাইয়াত রিক্তা: পুঁজিবাজারে গতকাল সপ্তাহের প্রথম দিনে সংশোধন প্রবণতায় লেনদেন হতে দেখা যায়। গত সপ্তাহের শেষ তিন দিনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচকের ১৩৬ পয়েন্ট উত্থান হয়। এর ফলে গতকাল বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা তুলে নেওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। প্রায় সব খাতে দর সংশোধন হলেও ব্যতিক্রম ছিল বস্ত্র ও বিমা খাত। বস্ত্র খাতে সবচেয়ে বেশি ৩০ শতাংশ লেনদেন হয়। অন্যদিকে বিমা খাতে ৭২ শতাংশ শেয়ারের দর বৃদ্ধি পায়।
গতকাল বস্ত্র খাতে ১৯৫ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। এ খাতে ৫৬ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। প্রায় ১০ শতাংশ বেড়ে দরবৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসে রিজেন্ট টেক্সটাইল। এছাড়া সায়হাম টেক্সটাইলের সাড়ে ১৯ কোটি, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের ১৮ কোটি, ড্রাগন সোয়েটারের ১৭ কোটি, সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের সাড়ে ১৬ কোটি এবং আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের ১৩ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। সব শেয়ারের দরই ইতিবাচক ছিল। প্রকৌশল খাতে লেনদেন হয় ১৫ শতাংশ। এ খাতে মাত্র ২২ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। এ খাতের বিবিএস কেব্লসের ১৬ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হলেও দর কমেছে দুই টাকা ৭০ পয়সা। ওষুধ ও রসায়ন খাতে লেনদেন হয় মোট লেনদেনের ১০ শতাংশ। এ খাতে ২৪ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। টাকার অঙ্ক এবং শেয়ারসংখ্যায় লেনদেনের শীর্ষে অবস্থান করে ফার কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ। কোম্পানিটির সোয়া ২২ কোটি টাকায় এক কোটি সাড়ে চার লাখ শেয়ার লেনদেন হয়। দর বেড়েছে এক টাকা ১০ পয়সা। জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ৪২ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। এ খাতের ইউনাইটেড পাওয়ারের ২১ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেনের পাশাপাশি দর বেড়েছে ছয় টাকা ৮০ পয়সা। খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ৫৩ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। ফু ওয়াং ফুডের ১৭ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। এছাড়া বিমা খাতের সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স, প্রভাতি ইন্স্যুরেন্স, পপুলার লাইফ, বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স, এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্স, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স ও ঢাকা ইন্স্যুরেন্স দরবৃদ্ধির শীর্ষ দশের তালিকায় উঠে আসে। গতকাল মন্দাবাজারে ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে কিছু দুর্বল কোম্পানি। এর মধ্যে জেড ক্যাটেগরির জুট স্পিনার্স, বিচ হ্যাচারি, ইমাম বাটন, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স, দুলামিয়া কটন, জিল বাংলা সুগার মিল, শ্যামপুর সুগার মিল, মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক ও মেঘনা পেটের দর প্রায় ১০ শতাংশ করে বেড়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ কোম্পানি একপর্যায়ে বিক্রেতা না থাকায় হল্টেড হয়।
সংশোধনমুখী বাজারে ইতিবাচক বস্ত্র ও বিমা খাত
