Print Date & Time : 28 June 2025 Saturday 5:52 pm

সংশোধিত প্রান্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেন্ট্রাল ফার্মা

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২০) সংশোধিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, সংশোধিত প্রতিবেদন অনুযায়ী তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১৮ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছর একই সময় ছিল এক পয়সা (লোকসান)। আর প্রথম ৯ মাসে বা তিন প্রান্তিকে (জুলাই, ২০১৯-মার্চ, ২০২০) ইপিএস হয়েছে সাত পয়সা লোকসান।

এর আগে ভুলক্রমে তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস সাত পয়সা লোকসান আর তিন প্রান্তিকে ১৮ পয়সা লোকসান হয়েছে বলে প্রকাশ হয়েছিল।

এদিকে ২০২০ সালের ৩১ মার্চ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ৭৩ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩০ জুনে ছিল ১৪ টাকা ৮৭ পয়সা। আর এই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৯ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে ছিল ছয় পয়সা।

গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৮১ শতাংশ বা ১০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ১২ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১২ টাকা ২০ পয়সা। দিনজুড়ে কোম্পানিটির ১০ লাখ ৮৩ হাজার ৮০১টি শেয়ার মোট ৫০৮ বার হাতবদল হয়। যার বাজারদর এক কোটি ৩২ লাখ ২০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১২ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১২ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ছয় টাকা ৬০ পয়সা থেকে ১৭ টাকা ৬০ পয়সায় ওঠানামা করে।

২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি এক শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪৮ পয়সা এবং ৩০ জুন তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৮৭ পয়সা। আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে ৫৩ পয়সা ও ১৫ টাকা ৭৯ পয়সা।

‘বি’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১১৯ কোটি ৮০ লাখ ১০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৫৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ১১ কোটি ৯৮ লাখ ৮৪৪ শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ২৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২২ দশমিক ৪২ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৫১ দশমিক ৬৯ শতাংশ শেয়ার।