Print Date & Time : 22 June 2025 Sunday 11:36 pm

‘সংসদের আগামী অধিবেশনেই ওয়ান স্টপ সার্ভিস আইন’

নিজস্ব প্রতিবেদক: ওয়ান স্টপ সার্ভিস নিয়ে অপেক্ষার শেষ হচ্ছে শিগগিরই। সংসদের আগামী অধিবেশনেই এ-সংক্রান্ত আইন পাস হবে। এ নিয়ে সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে। আইনটি পাস হলেই দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীকে সেবা দেওয়া শুরু করতে পারবে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। নির্বাধ ও সহজলভ্য সেবাদানের জন্য ব্যাপক সংস্কার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে এরই মধ্যে।

কানাডা চেম্বার বাংলাদেশ (কানচ্যাম) ও বিডা যৌথভাবে আয়োজিত তৃতীয় যৌথ চেম্বার সভায় এসব কথা বলেন বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম। গতকাল রাজধানীর গুলশানের ফোর পয়েন্টস-শেরাটন হোটেলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। কানচ্যামের সভাপতি মাসুদ রহমানের সভাপতিত্বে এ সভা সঞ্চালনা করেন জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (জেবিসিসিআই) সভাপতি সালাউদ্দিন কাসেম খান। সভায় বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় চেম্বারের নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম বলেন, গত সেপ্টেম্বরে বিডা তার এক বছর অতিক্রম করেছে। এই এক বছরের মধ্যেই সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে ব্যাপক সংস্কার সাধন করেছি। সংস্থাটির উদ্দেশ্য কী, তা সবার জানা। এ নিয়ে অনেক প্রত্যাশা রয়েছে। আসল বিষয় হলো, আমাদের বিনিয়োগ প্রয়োজন। আর বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ পরিবেশ প্রয়োজন। বিডা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়ন করা। সেজন্য চেষ্টা চলছে। আটটি সরকারি মন্ত্রণালয় ও সংস্থাকে বিপুল সংস্কারের জন্য কাজ চলছে। এটা করা সম্ভব হলে দেশের প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশের বেশি হবে। আর ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার তিন ট্রিলিয়ন ডলার হবে।

এ সময়ে বক্তারা বলেন, বিডা কাজ করছে। বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যানের মধ্যে বেসরকারি উদ্যোক্তাবান্ধব দৃষ্টিভঙ্গি আছে। এটা ইতিবাচক। কিন্তু বিডাতেও সরকারি কর্মচারীরাই নিযুক্ত হচ্ছেন, যাদের মানসিকতা খুবই ভিন্ন। তাদের মাধ্যমে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত হবে না। বিডাতে সরকারি বেতনভুক্ত লোক নিয়োগ না করে করপোরেট লিডারদের নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে। সভায় বক্তারা আরও বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার আগে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল চার হাজার মেগাওয়াট। এখন ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। কিন্তু আমরা এখনও এর সুফল পাচ্ছি না। কারণ বণ্টনব্যবস্থায় অদক্ষতা রয়েছে। চার লেন রাস্তা বানানো হলো ঢাকা-চট্টগ্রামে। কিন্তু ব্রিজগুলো রয়েছে দুই লেনের। এভাবে আংশিক সংস্কার করলে প্রকৃত সুফল আমরা পাব না। সমন্বিতভাবেই সুবিধা নিশ্চিত করা দরকার।