শেয়ার বিজ ডেস্ক: বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি ডেটাবেজে রক্ষিত তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪৪ হাজার ৮০২ কোটি টাকা। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঋণ তথ্যের ভিত্তিতে এটি জানান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। গতকাল জাতীয় সংসদে সংসদ সদস্য এমএ আউয়ালের (লক্ষ্মীপুর-১) এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য দেন।
অর্থমন্ত্রী জানান, চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে সব সরকারি ব্যাংকের খেলাপি ঋণের বিপরীতে নগদ আদায়ের পরিমাণ এক হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা।
এমএ আউয়ালের অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত সাময়িক রাজস্ব আহরণের পরিমাণ এক লাখ ২৬ হাজার ৩৫৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে একই সময় রাজস্ব আহরিত হয়েছে এক লাখ পাঁচ হাজার ৪৩৮ দশমিক ৪৭ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২০ হাজার ৯৮১ দশমিক ২৬ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সংসদ সদস্য মো. সোহরাব উদ্দিনের (কিশোরগঞ্জ-২) প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক খাতে ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন দাতা দেশ/সংস্থা থেকে ঋণ ও অনুদান গ্রহণ করে থাকে। স্বাধীনতার পর থেকে ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত দেশের ভৌত অবকাঠামো খাতের উন্নয়নে বৈদেশিক উৎস থেকে ৩৬৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার অর্থায়ন হয়েছে এবং একই সময় আর্থসামাজিক উন্নয়নে প্রায় এক হাজার ১৫০ কোটি ডলার বৈদেশিক সহায়তা পাওয়া গেছে। নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. মামুনুর রশীদ কিরণের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, ২০১৯-২০ হতে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত সরকারি ব্যাংকের মধ্যে প্রবাসী আয়ে শীর্ষে রয়েছে অগ্রণী ব্যাংক। এ ব্যাংকে আহরিত রেমিট্যান্সের পরিমাণ ১০ লাখ ৯১৫ দশমিক ১৪ মিলয়ন মার্কিন ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে প্রবাসী আয়ে শীর্ষে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড। এ ব্যাংকে আহরিত রেমিট্যান্সের পরিমাণ ২৬ লাখ ৬১২ দশমিক ৯৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।