সংসদে ইনডেমনিটির মতো কালো আইন এখনও হয়: মোকাব্বির খান

নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘এখনও জাতীয় সংসদে দুর্নীতিবাজ, অর্থ পাচারকারী ও লুটেরাদের জন্য ইনডেমনিটির মতো কালো আইন পাস হয়,’ এ কথা বলেছেন গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান।

এটা লজ্জার ব্যাপার। জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত সংসদের বিশেষ আলোচনায় অংশ নিয়ে গতকাল রোববার এসব কথা বলেন মোকাব্বির খান। সুবর্ণজয়ন্তীতে আলোচনার জন্য গত শুক্রবার সংসদে একটি প্রস্তাব আনেন সংসদ নেতা শেখ হাসিনা। ওই প্রস্তাবের ওপর সংসদ সদস্যরা আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন।

গতকাল আলোচনায় অংশ নিয়ে গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর সংসদকে বিভিন্নভাবে কলুষিত করা হয়েছে। জাতির পিতার হত্যার বিচার বন্ধ করার জন্য ইনডেমনিটির মতো কালো আইন এ সংসদে পাস করে সংসদকে কলঙ্কিত করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ও রাজাকার-আলবদরদের সংসদ সদস্য করে সংসদকে কলুষিত করা হয়েছে। জনগণের মালিকানা ছিনতাই করে গঠিত হচ্ছে জাতীয় সংসদ।

গতকাল জাতীয় সংসদে জাতির পিতার দর্শন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বাধীনতার আকাক্সক্ষা অনেকাংশেই অনুপস্থিত। মোকাব্বির খান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণা ছিল ১৯৭০ সালের নির্বাচন। তখন পশ্চিম পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে ছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু নির্বাচনে প্রাদেশিক পরিষদে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৮৮টিতে জয় পেয়েছিল আওয়ামী লীগ। ওই নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। ১৯৭৩ সালের নির্বাচন নিয়েও কেউ প্রশ্ন তোলেনি।

১৯৭৫ সালের পর বৈধ-অবৈধ কোনো সরকারের আমলে নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়নি বলে অভিযোগ করে মোকাব্বির খান বলেন, ‘কখনও সংবিধান কাটছাঁট, কখনও হ্যাঁ-না ভোট, কখনও ব্যালট বাক্স চুরি, কখনও এক কোটি ৩০ লাখ ভুয়া ভোটার, কখনও আগের রাতে ভোট চুরি ইত্যাদি। এ অপবাদ থেকে বাদ পড়েননি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাও।’

মোকাব্বির খান বলেন, কিছু বিষয়কে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখা উচিত। বঙ্গবন্ধু, সংসদ, সংবিধান, জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংবিধানÑএগুলো নিয়ে প্রশ্ন তুললে চরম বেইমানি হবে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০