নিজস্ব প্রতিবেদক: নির্বাহী ও বিচার বিভাগের চলমান ‘শীতল সম্পর্কের’ অবসান ঘটানো প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া। গতকাল বৃহস্পতিবার সংসদের বাজেট আলোচনায় পঞ্চগড়-২ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম
সুজনের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে অধিবেশনের সভাপতিত্বকালে একথা বলেন তিনি।
নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, সরকার ও বিচার বিভাগের মধ্যে একটা শীতল অবস্থা বিরাজ করছে। বিচার বিভাগ স্বাধীন একটি প্রতিষ্ঠান। বিচার বিভাগকে শক্তিশালী করতে হবে। আমরা এক সময় থাকব না। কিন্তু বিচার বিভাগ কাজ করে যাবে। আমরা যেন আগামীর জন্য মজবুত গণতন্ত্র দিতে পারি; সংবিধানের ধারা অব্যাহত রাখতে পারি। আমাদের যে গণতান্ত্রিক ধারা রয়েছে, তা আরও মজবুত করতে বিচার বিভাগের প্রতি দৃষ্টি দিতে হবে। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে সংসদ সদস্যদের নেতৃত্ব দিতে হবে।
সংসদ সসদ্যের এ বক্তব্যের পর ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, তবে শীতল অবস্থার পরিসমাপ্তি ঘটানো প্রয়োজন। আশা করি, এতে আপনারাই নেতৃত্ব দেবেন।
উল্লেখ্য, নি¤œ আদালতের বিচারকদের চাকরিবিধির গেজেট প্রকাশ নিয়ে কয়েক মাস আগে বিচার বিভাগের সঙ্গে নির্বাহী বিভাগের দ্বন্দ্ব প্রকাশ পায়। সে পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, বিচার বিভাগ-সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তাকে পাশ কাটানো হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সংসদ, বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগকে সমঝোতার মাধ্যমেই চলতে হবে। পরস্পরকে দোষারোপ করে একটি রাষ্ট্র সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হতে পারে না। এর মধ্যেই আইনমন্ত্রী আনিসুল হক একদিন বলেন, কোনো দেশে প্রধান বিচারপতিরা ‘প্রকাশ্যে এত কথা বলেন না’। পরে প্রধান বিচারপতি বলেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় অনেক পিছিয়ে আছে বলেই তাকে কথা বলতে হচ্ছে। এর মধ্যে সংসদেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা ওঠে। নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগের সম্পর্ক নিয়ে সংসদে আলোচনার দাবিও ওঠে। এছাড়া সংসদে গৃহীত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী হাইকোর্ট বাতিল করলে তা নিয়েও বক্তব্য আসে সংসদ থেকে।