সংসদে বাজেট উত্থাপন শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক: অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল দেশের ৫২তম প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন শুরু করেছেন। বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিকেল ৩টার দিকে জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন শুরু করেন তিনি।

এর আগে দুপুর ২টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ ভবনে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনের অনুমোদন দেয়া হয়। পরে বাজেট প্রস্তাবে সই করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এজন্য আজ বঙ্গভবনের পরিবর্তে তিনি জাতীয় সংসদ ভবনে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে অফিস করেন।

এর আগে দুপুর ১২টায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার জন্য ব্রিফকেস হাতে নিয়ে সংসদ ভবনে পৌঁছান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এর পরই শুরু হয় এ বিশেষ বৈঠক।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের মতে, বাজেটে ২০২৪ অর্থবছরের জন্য ২ দশমিক ৬১ লাখ কোটি টাকা ঘাটতিসহ রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হতে পারে। যার মধ্যে ১ দশমিক ০২ লাখ কোটি টাকা ঋণ করা হবে বাহ্যিক উৎস থেকে এবং ১ দশমিক ৫৫ লাখ কোটি টাকা আসবে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে।

অর্থমন্ত্রী ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে ১ দশমিক ৩২ লাখ কোটি টাকা, সঞ্চয় প্রশংসাপত্র থেকে ১৮ হাজার কোটি টাকা, নন-ব্যাংক উৎস থেকে ২৩ হাজার কোটি টাকা পাওয়ার আশা করছেন।

এছাড়া সরকারের পরিচালন ব্যয় ৪ দশমকি ৭৫ লাখ কোটি টাকা এবং মোট উন্নয়ন ব্যয় ২ লাখ ৭৭ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী উন্নয়ন ব্যয়ের জন্য ২ দশমকি ৭৭ লাখ কোটি টাকা প্রাক্কলন করেছেন। আগামী অর্থবছরে দেশীয় সুদ পরিশোধে সরকার ব্যয় করবে ৮২ হাজার কোটি টাকা এবং বৈদেশিক ঋণের সুদ বাবদ ১২ হাজার ৩৭৬ কোটি টাকা।

প্রায় ৩৯ হাজার কোটি টাকা মূলধন ব্যয় হিসাবে ব্যয় করা হবে, ৫০২ কোটি টাকা খাদ্য খাতে ব্যয় করা হবে এবং ৮ হাজার ৪০২ কোটি টাকা ঋণ ও অগ্রিম হিসাবে রাখা হবে।

২০২৩-২৪ সালের বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) অর্থায়নের জন্য ২ দশমিক ৬৩ লাখ কোটি টাকা, নন-এডিপি বিশেষ প্রকল্পের জন্য ৭ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা, নন-এডিপি কাজের বিনিময়ে খাদ্য এবং স্থানান্তর হিসাবে ২ হাজার ৮২৮ কোটি টাকা এবং স্কিম হিসাবে ৩ হাজার ৭৬৮ কোটি টাকা যা কিছু উন্নয়ন কর্মসূচী অন্তর্ভুক্ত করে যা নিজস্ব উৎস থেকে অর্থায়ন করা হয় কিন্তু এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত নয়।

আসন্ন অর্থবছরে সরকারের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৫ লাখ কোটি টাকা যার মধ্যে ৪ দশমিক ৫ লাখ কোটি টাকা আসবে কর-রাজস্ব হিসেবে এবং ৫০ হাজার কোটি টাকা অ-কর রাজস্ব হিসেবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) ৪ দশমিক ৩ লাখ কোটি টাকা আদায়ের দায়িত্ব দেওয়া হবে যেখানে এনবিআর বহির্ভূত কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ২০ হাজার কোটি টাকা।

এছাড়াও বৈদেশিক অনুদান হিসেবে ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা আসবে বলে অনুমান করেছে সরকার।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০