সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী গত অর্থবছরে ৮৩৭ কোটি টাকার ওষুধ রফতানি

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গত অর্থবছরে প্রায় ৮৩৭ কোটি টাকার ওষুধ রফতানি হয়েছে। জাতীয় সংসদের এক প্রশ্নোত্তরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এ তথ্য জানান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারের উদারনীতির ফলে বাংলাদেশের ওষুধশিল্প অন্যতম শিল্প খাতে পরিণত হয়েছে। দেশি চাহিদার শতকরা প্রায় ৯৮ ভাগেরও বেশি ওষুধ বর্তমানে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়। দেশে উৎপাদিত বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ও ওষুধের কাঁচামাল বিশ্বের ১২৭টি দেশে রফতানি হচ্ছে। ওষুধ রফতানির পরিমাণ ও দেশের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তিনি বলেন, গত অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের ১২৩টি দেশে ওষুধ রফতানি করে ৮৩৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা আয় হয়েছে।

সরকারি দলের এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে নারী-পুরুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন দেশের মানুষের গড় আয়ু ৭১ দশমিক আট বছর। ২০০৫-০৬ সালে গড় আয়ু ছিল ৬৫ বছর। বর্তমানে গড় আয়ু ৭১ দশমিক আট বছর। এর মধ্যে মহিলাদের ৭৩ দশমিক এক বছর এবং পুরুষের ৭০ দশমিক ছয় বছর।

গড় আয়ু বৃদ্ধিতে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে ব্যাপক সাফল্য অর্জিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। বাংলাদেশকে বিশ্ব সংস্থা ইতোমধ্যেই পোলিওমুক্ত দেশ হিসেবে সনদ প্রদান করেছে। কুষ্ঠরোগ নির্মূল হয়েছে।

নবজাতকের টিটেনাস বাংলাদেশে নেই বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে রোগ শনাক্তকরণ ও ডটস পদ্ধতিতে চিকিৎসা প্রদান জোরদার এবং কার্যকর করা হয়েছে। এভিয়েন, সোয়াইন ফ্লুসহ সব এভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জা, অ্যানথ্রাক্স, নিপাহ, ডেঙ্গুসহ সব সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

ভবিষ্যতে বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ক্যানসার ইত্যাদি অসংক্রামক রোগ হবে অন্যতম সমস্যাÑএমন আশঙ্কা প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, এ জন্য অসংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণকে অধিকতর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নেওয়া হয়েছে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে বিভিন্ন অসংক্রামক  রোগ প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্তকরণের কর্মসূচি। এ কারণে দেশের মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে।

সংসদ সদস্য মুহাম্মদ মিজানুর রহমানের অপর এক প্রশ্নের জবাবে  মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সরকার ইতোমধ্যে নিরাপদ, মানসম্মত ও প্রপার পারফরমেনসের মেডিক্যাল ডিভাইস নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি  মেডিক্যাল ডিভাইস গাইডলাইন অনুমোদন করেছে।

মন্ত্রী বলেন, হার্টের রিং বা করোনারি স্টেন্ট একটি সংবেদনশীল  মেডিক্যাল ডিভাইস। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর অনুমোদিত মেডিকেল ডিভাইস গাইডলাইন অনুযায়ী ইতোমধ্যে অনেক হার্টের রিং বা করোনারি স্টেন্টের রেজিস্ট্রেশন প্রদান করেছে এবং এ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, রেজিস্ট্রেশন করা সব হার্টের রিং বা করোনারি স্টেন্টের মূল্য ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মাধ্যমে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। এসবের মূল্য পরিস্থিতির ওপর ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের নিয়মিত মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা বিদ্যমান রয়েছে। কোনো ব্যবসায়ী বা হাসপাতালের কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে হার্টের রিং বা করোনারি স্টেন্ট বিক্রির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

 

 

 

Add Comment

Click here to post a comment

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০