নিজস্ব প্রতিবেদক : রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে নিয়ে অসত্য বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে সংসদ সচিবালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী আতর আলীকে। চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সমিতির সাবেক সভাপতি আতর আলীকে একই কারণে সংসদ ভবন এলাকায় নিষিদ্ধও করা হয়।
জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অসত্য বক্তব্য দেওয়ায় এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। আতর আলী নিজেও কারণ দর্শানোর নোটিস এবং সংসদ এলাকায় নিষিদ্ধ করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। ইতোমধ্যে শোকজের জবাব দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
গত ৬ সেপ্টেম্বর সংসদের সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ খালেদুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে আতর আলীকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয় আয়োজিত আলোচনা সভা দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠানে আপনি রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে অসত্য বক্তব্য দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে প্রকাশ্যে কোনো অসত্য বক্তব্য প্রদান দেশের সংবিধান পরিপন্থী। যেহেতু আপনি রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে অসত্য বক্তব্য প্রদান করেছেন ও যেহেতু আপনার উপরোক্ত আচরণ একজন সরকারি কর্মচারীদের জন্য অশোভনীয় আচরণ এবং সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা পরিপন্থী, তাই আপনাকে কেন যথোপযুক্ত দণ্ড প্রদান করা হবে না সে বিষয়ে এ নোটিস প্রাপ্তির তিন কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
এ বিষয়ে মো. আতর আলী বলেন, ‘ওই বক্তব্য দেওয়ার কারণে আমাকে সংসদ এলাকায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যেহেতু আমাকে যেতে নিষেধ করা হয়ে গেছে এজন্য আমি এখন আর সংসদ সচিবালয় যাই না। তবে কারণ দর্শানোর নোটিস পাওয়ার পরদিনই আমি জবাব দিয়েছি।’
সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ আগস্ট সংসদের শপথ কক্ষে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ভার্চুয়ালি অংশ নেন। কর্মচারীদের পক্ষ থেকে আতর আলী বক্তব্য রাখেন। এ সময় তিনি বলেন, বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ স্পিকার থাকার সময় এ ধরনের অনুষ্ঠান হয়নি। এ ছাড়া তিনি আরও কিছু নেতিবাচক বক্তব্য রাখেন।
সংসদ সচিবালয় সূত্রে আরও জানা গেছে, আতর আলী চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হয়েও সংসদ সচিবালয়ে খুবই প্রভাবশালী। তিনি সংসদ সচিবালয়ের সংসদ নেতার দপ্তরে কাজ করেন।