নিজস্ব প্রতিবেদক: সংসদ সচিবালয়ের ৪৩ কর্মকর্তা-কর্মচারীর দেহে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে। আসন্ন বাজেট অধিবেশন উপলক্ষে প্রায় ৪৫০ জনের কোভিড-১৯ পরীক্ষার পর সোমবার পর্যন্ত ৪৩ জন কভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়।
তবে এদের অধিকাংশেরই তেমন কোনো উপসর্গ নেই বলে জানিয়েছেন সংসদ সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব জাফর আহমেদ। আগামী বুধবার শুরু হচ্ছে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশন। পরদিন বাজেট উত্থাপন হবে, পাস হবে ৩০ জুন।
করোনাভাইরাস মহামারীর এই সময়ে সংসদ অধিবেশন শুরুর আগে এসএসএফের সুপারিশে সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নমুনা পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়। বাজেট অধিবেশন উপলক্ষে সংসদে দায়িত্বরত প্রায় ৪৫০ কর্মকর্তা-কর্মচারীর নমুনা পরীক্ষা ২ জুন থেকে শুরু হয়েছিল। সোমবার তা শেষ হয়েছে।
জ্যেষ্ঠ সচিব জাফর আহমেদ বলেন, ধাপে ধাপে কয়েক দফায় পরীক্ষা করা হয়েছে। যাদের পরীক্ষায় ফলাফল পজিটিভ এসেছে, তাদের সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। সংসদের মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসকরা তাদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিচ্ছেন। যাদের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে, তাদের তেমন কোনো উপসর্গ ছিল না বলে আমরা জানতে পেরেছি।
বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ৬৮ হাজার ৫০৪ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। একজন মন্ত্রীসহ মোট ছয়জন সংসদ সদস্যও আক্রান্ত হয়েছেন। সংসদের মেডিকেল সেন্টারের এক কর্মকর্তা জানান, সোমবার ১১ জনের নমুনায়, রোববার ১৬ জনের এবং শনিবার চারজনের নমুনায় সংক্রমণ ধরা পড়ে। বাকিরা আগে শনাক্ত হয়েছে।
যাদের নমুনা পরীক্ষার ফল ‘পজিটিভ’ এসেছে, তাদের মোবাইল ফোনে এসএমএস দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া সংসদের নিরাপত্তা দপ্তর থেকে তাদের সংসদে না যাওয়ার জন্য বলা হচ্ছে।
এদিকে করোনাভাইরাস সঙ্কটকালে অনুষ্ঠেয় বাজেট অধিবেশনে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আরও কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে সংসদ সচিবালয়। এক্ষেত্রে শারীরিকভাবে অসুস্থ এবং বয়স্ক সংসদ সদস্যদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।
অধিবেশন চলাকালে কক্ষের স্বাস্থ্য নিরাপত্তায়ও বড় ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে সাময়িকভাবে আসন বিন্যাসেও পরিবর্তন আনা হবে। প্রধানমন্ত্রীর আশপাশের বেশ কয়েকটি আসন ফাঁকা রাখা হবে।
এক্ষেত্রে সংসদের প্রধান হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীকে আরো এক সারি পিছনে এবং প্রধানমন্ত্রীর ডান পাশের আসনের সংসদ সদস্য মতিয়া চৌধুরীসহ অন্যদের আরো কয়েক আসন দূরে বসানোর ব্যবস্থা করা হবে।
আসন বিন্যাস এবং তালিকা করে সংসদ সদস্যদের উপস্থিতির বিষয়ে প্রধান হুইপের নেতৃত্বে হুইপরা একদফা বৈঠক করেছেন। বৈঠকে কোন দিন কোন কোন সদস্যরা অংশ নেবেন তার তালিকা তৈরির সিদ্ধান্ত হয়।