শেয়ার বিজ ডেস্ক: ঘড়ির কাঁটা যত গড়াচ্ছে, শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। সদ্যবিদায়ী প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষসহ একাধিক সংসদ সদস্যের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের পর এবার দেশের প্রধান বিমানবন্দর অবরুদ্ধ করে রেখেছেন ক্ষুব্ধ জনতা। কোনো আইনপ্রণেতা যেন দেশ ছেড়ে পালাতে না পারেন, তাই বন্দরনায়েকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অবরোধ করে রাখা হয়েছে বলে দাবি বিক্ষোভকারীদের। খবর: ডেইলি মিরর।
পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় প্রত্যেক বিমানযাত্রীকে বৈধ টিকিট ও সঙ্গে পাসপোর্ট নিয়ে আসার জন্য নির্দেশিকা জারি করেছে বিমান সংস্থাগুলো। বিক্ষোভ যে পর্যায়ে পৌঁছেছে তা সামাল দিতে গতকাল শিগগির সংসদে অধিবেশন ডাকার জন্য রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছেন সংসদের স্পিকার।
শ্রীলঙ্কার গণমাধ্যম ডেইলি মিরর জানায়, গত সোমবার দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাবেক প্রধানমন্ত্রীসহ একাধিক সংসদ সদস্যের বাড়িতে আগুন দেয়ার পর আরও উত্তেজিত হয়ে উঠেছেন বিক্ষোভকারীরা। মাহিন্দা রাজাপক্ষকে ঘেরাও করে রেখেছিলেন তারা। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে নৌবাহিনীর ঘাঁটিতে নিয়ে যান। কিন্তু সেই ঘাঁটিও অবরুদ্ধ করে রাখেন বিক্ষোভকারীরা। পাশাপাশি একদল বিক্ষোভকারী বন্দরনায়েকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রবেশপথে গাড়ি রেখে অবরোধে রয়েছেন।
ডেইলি মিরর জানায়, একদল বিক্ষুব্ধ তরুণ কাতুনায়েকে মুক্তবাণিজ্য জোন (এফটিজেড) এলাকার সড়কে অবস্থান নিয়েছেন। তারা রাস্তায় আড়াআড়ি করে যানবাহন রেখে অবরোধ করেছেন। ওই সড়ক দিয়ে শ্রীলঙ্কার প্রধান বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে হয়। বিক্ষোভকারীরা জানান, চলমান বিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পর যাতে সংসদ সদস্যরা দেশ ছেড়ে পালাতে না পারেন, সেজন্য তারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রবেশমুখে সড়ক আটকেছেন।
বিক্ষোভকারীদের আক্রমণ থেকে রেহাই পাননি পশ্চিম প্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিআইজি দেশবন্ধু তেনাক্কোন। গতকাল দুপুরে কলম্বোর বেরিয়া লেকের কাছে তার গাড়ির সামনে বিক্ষোভ করেন বিক্ষোভকারীরা। কিছুক্ষণের মধ্যে গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। শারীরিকভাবে নিগ্রহ করা হয় ডিআইজি তেনাক্কোনকে। পরে নিরাপত্তা রক্ষীরা তাকে উদ্ধার করে সরিয়ে নিয়ে যান।
এদিকে শ্রীলঙ্কায় সহিংসতাকারীদের দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। গতকাল সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এ নির্দেশনা দিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নলিন হেরাথ বলেন, কাউকে সরকারি সম্পত্তি লুটপাট বা মানবজীবনের ক্ষতি করতে দেখলে নিরাপত্তা বাহিনীকে গুলি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।