নিজস্ব প্রতিবেদক: গ্রাহকের নামে ক্রেডিট কার্ড ইস্যু হওয়ার পর থেকেই সেবা ফি কাটতে শুরু করে ব্যাংক। অনেক সময় দেখা যায়, গ্রাহকের কাছে ক্রেডিট কার্ড পৌঁছাতে অনেক সময় লেগে যায়, আবার গ্রাহক কার্ড অ্যাক্টিভেট বা সক্রিয় না করলেও সার্ভিস চার্জ কেটে রাখে ব্যাংক।
এখন থেকে ক্রেডিট কার্ড সক্রিয় না হওয়া পর্যন্ত কোনো চার্জ কাটতে পারবে না ব্যাংক। নন-ট্রানজেকশনাল ফি নামক এসব সেবা ফি কেটে রাখতে পারবে না বলে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল এমন সিদ্ধান্ত জানিয়ে সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ক্রেডিট কার্ডের বিপরীতে নগদ উত্তোলন এবং বিলম্ব ফি আদায় বিষয়ক নির্দেশনা আছে। তারপরও সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, ক্রেডিট কার্ড ইস্যুর পরে গ্রাহক ওই কার্ড সক্রিয় করার আগেই ব্যাংক বিভিন্ন ধরনের নন-ট্রানজেকশনাল ফি ও চার্জ (বার্ষিক ফি, সিআইবি ফি, এসএমএস ফি ইত্যাদি) আরোপ করছে। তা অনাদায়ে গ্রাহককে বিরূপ মানে শ্রেণিকরণ (খেলাপি) করা হচ্ছে। ফলে জনসাধারণের মাঝে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। এতে গ্রাহকও ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
এখন থেকে ক্রেডিট কার্ড সক্রিয় করার আগে গ্রাহকের ওপর কোনোরূপ নন-ট্রানজেকশনাল ফি বা চার্জ আরোপ করা যাবে না। ক্রেডিট কার্ড ইস্যুতে গ্রাহকের পক্ষ থেকে সমর্থন নিতে হবে। ক্রেডিট কার্ড চালু বা সক্রিয় করতে গ্রাহকের ইচ্ছা থাকা লাগবে। তবে সক্রিয় ক্রেডিট কার্ডে গ্রাহকের লেনদেন (কেনাকাটা, নগদ উত্তোলন বা অন্য কোনো ধরনের মার্চেন্ট ট্রানজেকশন) সংক্রান্ত কোনো দায় না থাকলে অপরিশোধিত বা বিলম্বে পরিশোধজনিত কারণে নন-ট্রানজেকশনাল ফি বা চার্জে অতিরিক্ত কোনোরূপ জরিমানা আরোপ করা যাবে না। নন-ট্রানজেকশনাল ফি বা চার্জের ওপর কোনো অবস্থায় সুদ বা মুনাফা আরোপ করা যাবে না।
নন-ট্রানজেকশনাল ফি বা চার্জ সংক্রান্ত অপরিশোধিত দায়ের জন্য গ্রাহককে খেলাপি করা যাবে না। তবে ক্রেডিট কার্ডে গ্রাহকের লেনদেন সংক্রান্ত দায় গ্রাহক কর্তৃক যথাসময়ে পরিশোধিত না হলে ঋণ শ্রেণিকরণ ও প্রভিশনিং করতে হবে ক্রেডিট কার্ডের বিল সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে আদায় হলে আরোপিত নন-ট্রানজেকশনাল ফি-চার্জ সমন্বয়ের পরে গ্রাহকের লেনদেন সংক্রান্ত দায় সমন্বয় করা যাবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, নন-ট্রানজেকশনাল ফি বা চার্জ পরিশোধ না করায়, যেসব কার্ড খেলাপি বা বিরূপ মানে শ্রেণিকরণ করা হয়েছে তা আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে হবে। এসব কার্ডের বেলায়ও নতুন নীতিমালা কার্যকর হবে। নির্দেশনা জারির পরপরই কার্যকর হয়েছে বলে ধরা হবে বলে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়।