রুবাইয়াত রিক্তা: অবশেষে প্রত্যাশিত গতিতে ফিরেছে পুঁজিবাজার। বড় ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সক্রিয়তা বাজারকে ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করে। কোনো ইতিবাচক সংবাদ ছাড়াই গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে ১০৮ পয়েন্ট বা এক দশমিক ৯৭ শতাংশ। লেনদেন বেড়েছে ১৯৩ কোটি টাকা। ৭৮ শতাংশ শেয়ারদর ইতিবাচক ছিল। গত কিছুদিনের বাজারের পতন যে কৃত্রিমভাবে তৈরি, তা বোঝা গেল গতকালের সূচক ও লেনদেনের গতিতে। কারণ হঠাৎ করে গতকাল বাজারে তারল্য প্রবাহ বাড়লো কীভাবে? তবে একটি ইতিবাচক খবর ছিল তা হচ্ছে, ডিএসইর কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত চীনা কনসোর্টিয়ামের দুই সদস্যের প্রতিনিধিদল গতকাল বিএসইসি নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। আর এ বিষয়টি নিয়ে বিএসইসির মনোভাব ইতিবাচক তাই বিনিয়োগকারীদের অহেতুক আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ডিএসইর নবনির্বাচিত পরিচালক। এ সংবাদটি বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
গতকাল সব খাতের অধিকাংশ শেয়ারের দর বেড়েছে। কয়েকটি খাত শতভাগ ইতিবাচক ছিল। সবচেয়ে বেশি ২৪ শতাংশ বা ৮২ কোটি টাকা লেনদেন হয় ব্যাংক খাতে। এ খাতে ৮৩ শতাংশ শেয়ারের দর বেড়েছে। লেনদেন বেড়েছে ৩৪ কোটি টাকা। আইএফআইসি ব্যাংক দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশের তালিকায় উঠে আসে। ওষুধ ও রসায়ন খাতে লেনদেন হয় ১৫ শতাংশ বা প্রায় ৫২ কোটি টাকা। এ খাতে লেনদেন কমেছে ছয় কোটি টাকা। এ খাতে ৮২ শতাংশ শেয়ারের দর বেড়েছে। প্রকৌশল খাতে লেনদেন হয় ১১ শতাংশ। এ খাতে ৮৩ শতাংশ শেয়ারদর ইতিবাচক ছিল। এ খাতে লেনদেন বেড়েছে সাত কোটি টাকা। বস্ত্র খাতে লেনদেন হয় ১১ শতাংশ। এ খাতে ৮২ শতাংশ শেয়ারের দর ইতিবাচক ছিল। লেনদেন বেড়েছে প্রায় আট কোটি টাকা। এ খাতের শাশা ডেনিম দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশের তালিকায় উঠে আসে। এছাড়া আর্থিক খাত, বিবিধ খাত, কাগজ ও প্রকাশনা, সেবা ও আবাসন, টেলিযোগাযোগ খাত শতভাগ ইতিবাচক ছিল। গতকাল আর্থিক খাতের বিডি ফিন্যান্স, লংকাবাংলা ফিন্যান্স ও জিএসপি ফিন্যান্স দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশে অবস্থান করে। লেনদেনে নেতৃত্ব দেওয়া স্কোয়ার ফার্মা ও ব্র্যাক ব্যাংকের ১৭ কোটি টাকা, বেক্সিমকো সাড়ে ১৬ কোটি, লংকাবাংলা প্রায় ১২ কোটি, ইউসিবি ৯ কোটি, মার্কেন্টাইল ব্যাংক প্রায় ৯ কোটি, ইফাদ অটোসের প্রায় সাত কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।
