সচেতনতায় ডায়াবেটিস ঠেকানো

১৪ নভেম্বর বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস। এ বছর দিবসটি পালিত হবে ‘সর্বজনীন ডায়াবেটিস চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতকরণ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে।

আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশনের হিসাবে ২০১৯ সালে পৃথিবীতে ৪৬ কোটি ৩০ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন। একসময় বলা হতো, ডায়াবেটিস বড়লোকের রোগ, কিন্তু আক্রান্ত মানুষের চার ভাগের তিন ভাগই নি¤œ ও নি¤œমধ্যম আয়ের দেশের নাগরিক। বাংলাদেশেও দ্রুত হারে বাড়ছে ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা।

অসংক্রামক রোগের মধ্যে বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিস অন্যতম। তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ডায়াবেটিস প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ। কোভিড মহামারিকালে এই সত্য আরও প্রকটভাবে দেখা দিয়েছে। কোভিড আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছেন, তাদেরও একটি বড় অংশ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন। এ ছাড়া ডায়াবেটিসের দীর্ঘস্থায়ী জটিলতায় (যেমন হƒদ্?রোগ, কিডনি রোগ, চোখের রোগ, স্নায়ু রোগ, গর্ভকালীন জটিলতা প্রভৃতি) কয়েক গুণ বেশি মানুষের অকালমৃত্যু হয়।

ডায়াবেটিক রোগীর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হলে সবচেয়ে বেশি যা দরকার, তা হলো রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বোঝার বা পরিমাপের সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য পরীক্ষা হলো রক্তের ‘এইচবিএওয়ানসি’ পরীক্ষা, যা বিগত তিন-চার মাসের নিয়ন্ত্রণের গড় হিসাবকে নির্দেশ করে। ডায়াবেটিক রোগীর জন্য গড়পড়তা এইচবিএওয়ানসির লক্ষ্যমাত্রা হলো সাত শতাংশ। এ ছাড়া নিয়মিত বাড়িতে রক্তের শর্করা মাপার বিকল্প নেই।

সচেতনতায় ডায়াবেটিস ঠেকানো: কিন্তু বেশিরভাগ রোগীই এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কমবেশি ব্যর্থ। বাংলাদেশের বেলায় তা আরও হতাশাব্যঞ্জক। গবেষণা বলছে, বাংলাদেশের ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ ডায়াবেটিক রোগীর নিয়ন্ত্রণ লক্ষ্যমাত্রার বাইরে। অথচ সবাই সমান সুযোগ পেলে বা সচেতন হলে এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব। বাংলাদেশের একটি বড়সংখ্যক ডায়াবেটিক রোগী আর্থসামাজিক কারণে ও সচেতনতার অভাবে নিয়ন্ত্রণের বাইরে রয়ে যাচ্ছেন। সেজন্যই সবার জন্য বা সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার কথা জোর দিয়ে বলা হচ্ছে। (বাকি অংশ আগামীকাল)

ডা. শাহজাদা সেলিম

সহযোগী অধ্যাপক, এন্ডোক্রাইনোলজি ও মেটাবলিজম বিভাগ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটি

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০