বেনজির আবরার: ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) কাজ করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে। তাদের উদ্দেশ্য ‘দুর্নীতি’ শব্দটিকে সব স্থান থেকে সরিয়ে দেওয়ার ভিত্তি হিসেবে একটি সামাজিক আন্দোলনের সূচনা করা। টিআইবির এ কাজে সহযোগী হিসেবে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও কাজ করে।
স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির কথাই ধরুন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে সহযোগী হিসেবে কাজ করে স্ট্যামফোর্ড ইয়েস। এর পূর্ণরূপ হচ্ছে ইয়ুথ এনগেজমেন্ট অ্যান্ড সাপোর্ট (ইয়েস)। বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক সংগঠন এটি। ২০০৯ সালে যাত্রা করে সংগঠনটি।
প্রতিষ্ঠার নবম বছরে এসে স্ট্যামফোর্ড ইয়েস এখন অনেকটা পরিণত। সদস্য সংগ্রহ থেকে শুরু করে তাদের সব কার্যক্রমেই রয়েছে স্বচ্ছতা।
সদস্য সংগ্রহ
ইয়েস গ্রুপ গঠন করা হয় সর্বনি¤œ ১১ আর সর্বোচ্চ ৫৫ সদস্যের সমন্বয়ে। গ্রুপে সদস্য সংযুক্তির ক্ষেত্রে রয়েছে নানা ধাপ। প্রাথমিক পর্যায়ে সদস্য আহ্বান করা হয়। তথ্যগত ত্রুটির কারণে সদস্যপ্রার্থীদের কেউ কেউ বাদ পড়েন। সদস্য হতে চাইলে রাজনৈতিক কোনো সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকা যাবে না। আবার কেউ বা বাদ পড়েন মৌখিক পরীক্ষায়। চূড়ান্ত পর্যায়ে যারা টিকে থাকেন, তাদেরই বলা হয় ইয়েস ফ্রেন্ডস। সমন্বয়ক হিসেবে রয়েছেন তিনজন শিক্ষক।
কার্যক্রম
বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা দুর্নীতিবিরোধী প্রচার চালিয়ে থাকেন সংগঠনের সদস্যরা। স্ট্যামফোর্ড ইয়েসের বছর শুরু হয় সেপ্টেম্বরে। শেষ হয় পরের সেপ্টেম্বরে। এ সময়ের মধ্যে তারা ১০টি নিয়মিত অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকে। জানালেন স্ট্যামফোর্ড ইয়েস গ্রুপের ডেপুটি লিডার জিহাদ আমিন। তিনি আরও জানান, গত বছর ইয়েস গ্রুপের সদস্যদের অংশগ্রহণে দুর্নীতিবিরোধী কার্টুন প্রদর্শনী ও নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে। জেন্ডার সংবেদনশীল দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক আন্দোলন ও দুর্জয় তারুণ্যবিষয়ক ওরিয়েন্টেশন আয়োজন করেন তারা। নকল ও ইভটিজিং-বিরোধী গণস্বাক্ষর অভিযান চালান। ‘উন্নয়ন ও গণতন্ত্র’ শীর্ষক আলোচনাসহ তথ্য অধিকার নিয়ে কাজ করে ইয়েস।
সাফল্য
টিআইবির তথ্যমতে, বর্তমান কার্যক্রমের দিক থেকে দেশসেরা ইয়েস গ্রুপ নির্বাচিত হয়েছে স্ট্যামফোর্ড ইয়েস। এ বিষয়ে কথা হয় স্ট্যামফোর্ড ইয়েসের আরেক ডেপুটি লিডার শতাব্দী পারের সঙ্গে। তিনি জানান, সম্প্রতি বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে টিআইবি সেরা ইয়েস সদস্য পুরস্কার, ২০১৬ প্রদান করে। ইয়েসকে আরও কার্যকর ও অনুপ্রেরণা দিতে ৩৮টি জেলা, ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয় ও সাতটি উপজেলার প্রতি গ্রুপ থেকে দুজন করে ইয়েস সদস্যকে সেরা ইয়েস নির্বাচিত করা হয়। স্ট্যামফোর্ড ইয়েসের গ্রুপ লিডার রাখিল খন্দকার নিশান ও সদস্য শাকিলুর রহমান সেরা ইয়েস হিসেবে নির্বাচিত হন।
রাখিল খন্দকার নিশান বলেন, ‘সচেতন মানুষমাত্রই দুর্নীতিবিরোধী। প্রতিষ্ঠার পর থেকে টিআইবির সহযোগী হিসেবে স্ট্যামফোর্ড ইয়েস সফলভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। আমরা সুন্দর ও দুর্নীতিমুক্ত একটি সমাজ চাই।’
শিক্ষার্থী
Add Comment