Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 3:30 am

সঠিক মাপের ফ্ল্যাট গ্রাহকদের বুঝিয়ে দিতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: আবাসন কোম্পানিগুলো উন্নয়ন করছে। বানানো হচ্ছে সুউচ্চ বিল্ডিং। কিন্তু বিল্ডিং কোড কয়জন মানছে? এ ব্যাপারে সিডিএ’র দৃষ্টি রাখা উচিত। ডেভেলপারদের প্রতি অনুরোধ, সঠিক মাপের ফ্ল্যাট গ্রাহকদের বুঝিয়ে দিতে হবে। কমন এরিয়ার নামে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ কেড়ে নিচ্ছে অনেক আবাসন প্রতিষ্ঠান, যা অনৈতিক। এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার হোটেল র‌্যাডিসন ব্লু ভিউতে আয়োজিত রিয়েল অ্যাস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) রিহ্যাব মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এ তাগিদ দেন।

রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুল কৈয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেনÑচট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাহবুবুল আলম, রিহ্যাবের শামসুল আল আমিন কাজল, রিহ্যাবের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট কামাল মাহমুদ প্রমুখ।

ভূমিমন্ত্রী বলেন, ডেভেলপারদের আরও সৃজনশীলতার পরিচয় দিতে হবে। ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে মানুষের রিফ্রেশমেন্টের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। খোলামেলা মাঠ ও পর্যাপ্ত হাঁটা-চলার ব্যবস্থা রেখে ডেভেলপমেন্ট করা প্রয়োজন। অনুষ্ঠানে ভূমিমন্ত্রী আগামী পহেলা বৈশাখ থেকে ভূমি কর সম্পূর্ণ অনলাইনে আদায়ের কথা জানান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ডেভেলপারের হাতে জমি দেয়ার পর চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও অনেক প্রতিষ্ঠান তা হন্তান্তর করতে পারে না। রিহ্যাবের এ ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেয়া উচিত। যারা রিহ্যাবের মেম্বার নয়, তারা যেন আবাসন ব্যবসায় জড়িত হতে না পারেন। তা হলো ট্রেড লাইসেন্স দেয়া বন্ধ করা। তবে এ প্রস্তাব আসতে হবে রিহ্যাবের কাছ থেকে। 

রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটির চেয়ারম্যান আবদুল কৈয়ুম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামে একটি মাস্টারপ্ল্যান করা হচ্ছে। এমন কোনো মাস্টারপ্ল্যান যেন তৈরি না হয় যা নিয়ে সবার প্রশ্ন থাকে। অতীতের মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে অনেক সমস্যা ছিল। ফ্ল্যাট কেনাবেচার ক্ষেত্রে সেকেন্ডারি মার্কেট তৈরি করা ও ভূমির রেজিস্ট্রেশন ফি সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া দরকার।

গতকাল শুরু হওয়া এ মেলা আগামী রবিবার পর্যন্ত চলবে। এ মেলায় ৪৮টি স্টলে ৩২টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়ে করেছে। মেলায় প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ক্রেতা-দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে পারবেন। আগত দর্শকদের জন্য র‌্যাফল ড্র’র মাধ্যমে প্রতিদিন থাকছে পুরস্কার। মেলায় দুই ধরনের টিকিট থাকছে। একটি সিঙ্গেল অপরটি মাল্টিপল। সিঙ্গেল প্রবেশ মূল্য ৫০ টাকা এবং মাল্টিপল প্রবেশ মূল্য ১০০ টাকা। মাল্টিপল টিকিট দিয়ে মেলার সময় দর্শনার্থীরা মোট চারবার প্রবেশ করতে পারবেন।