নিজস্ব প্রতিবেদক : ইভ্যালির পাসওয়ার্ড না পাওয়ায় গ্রাহক ও এজেন্টদের লেনদেনের সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ইভ্যালির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। গতকাল ধানমন্ডির ১৪ নাম্বার সড়কে অবস্থিত ইভ্যালির অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
শামসুদ্দিন চৌধুরী বলেন, বর্তমানে ইভ্যালির যে অর্থের তথ্য পাওয়া গেছে তা দিয়ে গ্রাহকদের পাওনা টাকা পরিশোধ করা সম্ভব নয়। ইভ্যালির গ্রাহকদের কার কী পরিমাণ লেনদেন তা এক পাসওয়ার্ডেই আটকে আছে। বারবার ধরনা দিয়েও ইভ্যালির প্রধান রাসেলের কাছ থেকে পাসওয়ার্ড উদ্ধার করা যায়নি।
তিনি আরও বলেন, মূল সার্ভার সচল না হলে গেটওয়েতে থাকা ২৫ কোটি টাকা ছাড় করবে না ব্যাংকগুলো। পাওনাদারদের তথ্য না পাওয়ায় ২৫ কোটি টাকার পণ্য থাকলেও তা দেয়া যাচ্ছে না।
শামসুদ্দিন চৌধুরী বলেন, ইভ্যালির শেয়ার হস্তান্তর করতে হলে পরিচালনা বোর্ডের কাছে আসল কাগজপত্র জমা দিতে হবে। হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী বর্তমান বোর্ড কাজ করে যাচ্ছে। চলতি মাসেই ইভ্যালির বর্তমান আর্থিক অবস্থা পর্যালোচনা করে দায়-দেনা ও সম্পদের নিরীক্ষা প্রতিবেদন (অডিট রিপোর্ট) তৈরি করে আদালতে উপস্থাপন করা হবে।
পাসওয়ার্ড না থাকায় যেহেতু সঠিক হিসেব মিলছে না তাহলে অডিট কার্য হিসেবে পরিচালনা করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা বহুভাবে সার্ভার সচল করার চেষ্টা করেছি এক্সপার্টদের সঙ্গে আলোচনা করেছি, কোনোভাবেই সার্ভার সচল করা যাচ্ছে না। তবে আমাদের কোর্টের আদেশ আছে অডিট করতে হবে। তাই আমাদের যতটুকুই তথ্য আছে তা দিয়েই আমরা অডিট করব।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেনÑবোর্ডের সদস্য সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল আহসান, মাহবুব কবির, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফখরুদ্দিন আহম্মেদ, আইনজীবী ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।