নিজস্ব প্রতিবেদক: নতুন সড়ক পরিবহন আইন বহাল রেখেই সহনীয় মাত্রায় তা প্রয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, নতুন সড়ক পরিবহন আইন এই মুহূর্তে সংশোধন সম্ভব নয়। গতকাল সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সড়ক আইনের সমস্যা সমাধানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যখন পরিবহন নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন আমার সঙ্গে তিনি আলোচনা করেছেন। তারা তাদের দাবি জানিয়েছেন, আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখব। এ মুহূর্তে কিছু করা সম্ভব নয়। সংসদে যেহেতু আইন পাস হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও বিষয়টি আলোচনা করব।’
আইন সংশোধনীর ইঙ্গিত ও বাস্তবায়নে পিছু হটায় এটি মেনে না চলার প্রবণতায় জনমনে কোনো প্রভাব পড়বে কি নাÑএমন এক প্রশ্নের জবাবে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘আইন পরিবর্তন কোথায় হলো? জাতীয় সংসদে আইনটি পাস হয়েছে। পরিবর্তন করতে হলে সংসদেই আবার নিয়ে যেতে হবে। সেটা আমরা বলছি তারা (পরিবহন-সংশ্লিষ্টরা) দাবি করেছে, সেটা আমরা যাচাই-বাছাই করে দেখছি।’
তিনি বলেন, ‘আইন তো আর কোরআন আর বাইবেল নয় যে, এটাতে সংশোধনের সুযোগ নেই। যদি যাচাই-বাছাই করে সংশোধনের মতো বাস্তব কোনো যুক্তিসঙ্গত, ন্যায়সঙ্গত বিষয় থাকে সেটা অবশ্যই বিবেচনা করা হবে। কিন্তু যাচাই-বাছাই করার আগে তাদের দাবি নিয়ে আমি তো এখন হুট করে কোনো মন্তব্য করতে পারি না, যে আইনের পরিবর্তন বা সংশোধন হবে।’
আইন মেনে না চলার প্রবণতার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি এখন আইন মেনে চলার প্রবণতা বাড়ছে। একটা ভয়ভীতি কাজ করছে। যে যাই বলুক আইনের প্রয়োগটা বন্ধ করা হয়নি। কিছু কিছু বিষয়ে বাস্তবতার স্বার্থে শৈথিল্য দেখানো হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আইন প্রয়োগে যতটা সহনীয়ভাবে দেখা যায় দেখব। যখন অচলাবস্থা হয় তখন মিডিয়াও বলে ভোগান্তি হচ্ছে। সব বন্ধ হলে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়। বাস্তবতার নিরিখে রয়ে-সয়ে চলতে হবে। কারণ বাস্তবতা ভিন্ন। আইনের বিধি হয়ে গেলে অনেক কিছু সমাধান হবে। সবার আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সিদ্ধান্ত তো চাপিয়ে দেওয়া হয়নি, সবার সঙ্গে আলোচনা করে বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
পরিবহন নেতাদের কাছে সরকার জিম্মি কি নাÑএমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কারও কাছে কেউ জিম্মি নয়। পরিবহনের সঙ্গে দুদিনের অবস্থা বিচার করে দেখেন। মিডিয়া বিষয়টি নিয়ে ইতিবাচকভাবে আইনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তবে এক সপ্তাহ অচলাবস্থা হলে মিডিয়ার সুর পাল্টে যাবে। প্রথম দু-তিনদিন আপনারা আইনের পক্ষে থাকবেন। পণ্য সরবরাহ বন্ধ হলে কী হবে? কাজেই আমাদের হট অ্যান্ড কোল্ড গ্রো করে এগিয়ে যেতে হবে।’