নিজস্ব প্রতিবেদক: মিয়ানমারে সংঘাত চলার মধ্যে বাংলাদেশে মর্টার শেল ছিটকে আসার ঘটনায় নজর রাখার পাশাপাশি দেশটির সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ থাকার কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
মর্টার শেল ছিটকে আসার বিষয়ে গতকাল সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘সেখানে আরাকান আর্মি ও মিয়ানমারের আর্মি, সরকারি বাহিনী দুটির মধ্যে সংঘাত চলছে। সেই সংঘাতেরই মর্টার শেল আমাদের দেশে এসে পড়েছে।
‘এটি আমরা অবশ্যই নজরে রেখেছি। সেখানে আমাদের সীমান্তরক্ষীরা সতর্ক আছে এবং মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী বা সরকারের সঙ্গেও যোগাযোগের মধ্যে আছি।’
মিয়ানমারে সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহীদের মধ্যে ফের প্রচণ্ড গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনায় সীমান্তের এপারে কক্সবাজারের টেকনাফ ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন।
তারা সীমান্তের কাছে হেলিকপ্টার উড়তে দেখেছেন। ভারী মর্টার শেলের শব্দও তারা শুনতে পাচ্ছেন। আতঙ্কে থাকার কথা বলেছেন ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গারাও।
গত রোববার ওপার থেকে বাংলাদেশের ভেতরে অন্তত পাঁচটি মর্টার শেল ছিটকে আসার বিষয়ে খবর প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে।
মর্টার শেল উড়ে আসার বিষয়ে উদ্বিগ্ন কি না, এমন প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা আশা করব, সেখান থেকে কোনো মর্টার শেল আমাদের দেশে আসবে না। তবে আমরা সতর্ক আছি এ ব্যাপারে।’
মিয়ানমারে সংঘাতের মধ্যে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। আগে থেকে থাকা রোহিঙ্গাদের নিয়ে কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার ক্যাম্পগুলোয় এখন ১১ লাখ রোহিঙ্গার বাস।
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে উদ্যোগ নিলেও প্রায় সাত বছরে একজন রোহিঙ্গাও নিজ দেশে ফিরতে পারেনি।
আবারও সংঘাতের ফলে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অনুপ্রবেশের কোনো শঙ্কা করছেন কি না, এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এখনও কোনো কিছু দৃশ্যমান হয়নি।’