শেয়ার বিজ ডেস্ক: অ্যামাজন ইনকরপোরেশনের নতুন সদর দফতর শিকাগোতে স্থাপনের জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছে শহর কর্তৃপক্ষ। এজন্য প্রতিষ্ঠানটিকে ২০০ কোটি ডলারের কর মওকুফের প্রস্তাব দিয়েছে। সম্প্রতি অ্যামাজন দ্বিতীয় সদর দফতর স্থাপনের ঘোষণা দেয়। এর পর থেকেই বিভিন্ন শহরের কর্তৃপক্ষ প্রতিযোগিতায় নামে অ্যামাজনের নজরে পড়তে।
শিকাগো শহরের মেয়র, স্টেট গভর্নর ব্রæস রানার ও কাউন্টি বোর্ড প্রেসিডেন্টসহ আইনপ্রণেতারা একত্র হয়ে এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব তৈরি করে, যা অ্যামাজনের নির্বাহী বরাবর পাঠানো হয়েছে। গত সোমবার অ্যামাজন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দ্বিতীয় সদর দফতর স্থাপন করতে বিভিন্ন শহর ও অঞ্চল থেকে তাদের কাছে এখন পর্যন্ত ২৩৮টি প্রস্তাব এসেছে।
বোস্টন ও শিকাগোর মতো বড় শহর প্রতিযোগিতার তালিকায় রয়েছে। প্রতিদ্বদ্বীর এ তালিকায় তুলসা, ওকলাহোমা ও টেনিসি অঙ্গরাজ্যের মেমফিসের মতো তুলনামূলক ছোট শহরগুলোও রয়েছে।
প্রযুক্তিশিল্পের কর্মীদের বেতন-ভাতা নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান হায়ারডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহুল প্যাটেল বলেন, অনেকগুলো শহরই সদর দফতরের জন্য অ্যামাজনকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে এরই মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখিয়েছে নিউইয়র্ক সিটি কর্তৃপক্ষও। শহরটির কর্তৃপক্ষ মনে করে, বিশ্ববিদ্যালয়, আবাসন, বিপুলসংখ্যক দক্ষ কর্মিবাহিনী থাকায় অ্যামাজনের নতুন সদর দফতরকে আতিথ্য দেওয়ার মতো সব ধরনের সক্ষমতাই আছে নিউইয়র্কের। এক্ষেত্রে অ্যালফাবেট ইনকরপোরেশনের আওতাধীন গুগলের কার্যালয়ের উদাহরণও টেনেছে শহর কর্তৃপক্ষ। ম্যানহাটনে গুগল কার্যালয়ে বর্তমানে পাঁচ হাজার কর্মী কাজ করছেন।
এ বিষয়ে এক সাক্ষাৎকারে নিউইয়র্ক সিটির উপমেয়র অ্যালিসিয়া গ্লেন ব্রুমবার্গকে বলেন, অ্যামাজনকে আতিথ্য দেওয়ার মতো সব ধরনের সক্ষমতা আমাদের রয়েছে। অ্যামাজন বর্তমানে বিজ্ঞাপন, প্রচারমাধ্যম, ফ্যাশন, খাদ্য ও আর্থিক খাতের প্রতিও আগ্রহী। আর নিউইয়র্ক এক্ষেত্রে তাদের সামনে সবকিছুর একটি পূর্ণাঙ্গ প্যাকেজ হাজির করতে পারে। এসব খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য আগামী অন্তত ৫০ বছরের জন্য নিউইয়র্কই হতে পারে প্রথম পছন্দ।
এরই মধ্যে নিউইয়র্কের জমির মালিক, ব্যবসায়ী সংঘ, আবাসন খাতসহ সংশ্লিষ্ট সবার কাছ থেকে প্রস্তাব আহবান করেছে নিউইয়র্ক নগর কর্তৃপক্ষ। নিউইয়র্কের যেকোনো অঞ্চল থেকে প্রস্তাব পাঠানো যাবে। এসব প্রস্তাব পরে পর্যালোচনা করবে শহর কর্তৃপক্ষ। মূলত অ্যামাজনের সামনে লোভনীয় একাধিক প্রস্তাব রাখতে চায় নিউইয়র্ক সিটি। তবে আমাজনকে আকৃষ্ট করতে কোনো প্রণোদনার চিন্তা করছে না শহর কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, সিয়াটলভিত্তিক প্রতিষ্ঠান অ্যামাজন সম্প্রতি তাদের দ্বিতীয় সদর দফতর স্থাপনের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। নতুন এ সদর দফতর স্থাপনে ব্যয় করা হবে পাঁচ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি, যা আগামী ১৫ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে অন্তত ৫০ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। আর এ পরিকল্পনা প্রকাশের পরই বেশ কয়েকটি শহর অ্যামাজনকে আতিথ্য দিতে উঠেপড়ে লেগেছে।