সন্তুষ্ট নন সৌম্য

ক্রীড়া প্রতিবেদক: শেষ টেস্ট খেলেছিলেন ২০১৫ সালের জুনে। এরপর থেকে রঙিন পোশাকের ক্রিকেটেই সৌম্য সরকারের কেটেছে ব্যস্ততা। ২২ গজে ছড়িয়েছেন আলো। তবে গত কয়েক ম্যাচে ঠিক চেনা সৌম্যকে দেখা যাচ্ছিল না। যে কারণে স্কোয়াডে থাকলেও একাদশে জায়গা পাওয়াটা এই বাঁহাতির জন্য কঠিই হয়ে পড়েছিল। শেষ পর্যন্ত ইমরুল কায়েসের ইনজুরিতে অনেক দিন পর সাদা পোশাকের ক্রিকেটে পাওয়া সুযোগটাকে কাজে লাগালেন তিনি। খেললেন ৮৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। তবে এতেই সন্তুষ্ট নন বাংলাদেশের বাঁ-হাতি এই ব্যাটসম্যান। নিজের ইনিংস আর দলকে আরও ভালো জায়গায় না নেওয়ার আক্ষেপে পুড়ছেন সৌম্য।

ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে প্রথম দিনের শুরুতেই ২ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে ১২৭ রানের জুটি গড়েন সৌম্য সরকার। কিন্তু সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১৪ রান দƒরে ট্রেন্ট বোল্টের স্কোয়ারে পরাস্ত হয়ে ডি গ্রান্ডহোমের হাতে ধরা পড়েন তিনি। এরপর টাইগারদের ইনিংস খুব একটা লম্বা হয়নি। যা পোড়াচ্ছে সৌম্যকে। ‘ইনিংসটা বড় করতে পারলে আমার জন্য ভালো হতো। এরচেয়ে বড় হলো, দলেরও অনেক উপকার হতো। আমি আউট হওয়ার পর সাব্বির আর সাকিব ভাই আউট হয়ে গেছেন। আমি আউট না হলে হয়তো তারাও আউট হতেন না। আর তাহলে স্কোরবোর্ডে দলের রানটাও ভালো থাকতো।’

গত কয়েক মাস ধরেই সৌম্য ভুগছিলেন ফর্মহীনতায়। যে কারণে দল থেকে বাদ পড়ারও উপক্রম শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত কিউই সফরের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দেন এই বাঁ-হাতি। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় টেস্টে পাওয়া সুযোগটাকে কাজে লাগালেন তিনি। তাইতো  সৌম্যের কণ্ঠে গতকাল শোনা গেল, ‘ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি বা টেস্ট যে সংস্করণেই হোক, রান দরকার ছিল আমার। চেয়েছিলাম যেখানেই খেলি রান করব। কিন্তু আমি সন্তুষ্ট হতে পারিনি।’ প্রথম ইনিংসে সৌম্য-সাকিবের ব্যাটে ভর করে ২৮৯ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ।

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০