ক্রীড়া ডেস্ক: আগামী বছরই রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় আসর বিশ্বকাপ ফুটবল। এ নিয়ে প্রস্তুতির শেষ নেই দেশটির। কিছুদিন আগে ফিফা কনফেডারেশন কাপ সফলভাবে আয়োজন করে আত্মবিশ্বাসটা বেড়ে গেছে তাদের। কিন্তু ‘ফুটবল সন্ত্রাস’ ভাবিয়ে তুলেছে স্বাগতিকদের। বিশ্বফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার প্রত্যাশা, কোনো ধরনের সন্ত্রাসী ঘটনা ছাড়াই নির্বিঘেœই হবে এ আয়োজন। সে ভাবনা থেকেই শতকোটি ডলার ব্যয় করা হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা যৌথভাবে এ উদ্যোগ সফল করতে কাজ শুরু করেছে। বিশ্বকাপ ভেন্যুতে কেউ যেন কোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে না পারে, সেদিকে চোখ থাকবে পুলিশ আর দেশটির বিশেষ গোয়েন্দা বাহিনীর। ফুটবলে দেখা যায়, হুলিগানরা অনেক সময় এক সঙ্গে জোট বেঁধে মাঠে প্রবেশ করে প্রিয় দলকে সমর্থন করতে গিয়ে চারপাশে ভাংচুর চালায়। দল হেরে গেলে তো কথাই নেই। রীতিমতো তাণ্ডব চালায়। তাদের আটকাতে কাজ করবে রাশিয়ান পুলিশ। বিশ্বকাপ ভেন্যু সেন্ট পিটার্সবার্গ স্টেডিয়াম ঘিরে তৈরি হবে আলাদা নিরাপত্তা বলয়। কারণ এখানে দর্শক ধারণক্ষমতা এক লাখ ১০ হাজার। দাঙ্গা পুলিশ সার্বক্ষণিকভাবে নিয়োজিত থাকবে। বিশ্বকাপ চলাকালে কোনো জঙ্গি গোষ্ঠীর আক্রমণ যাতে না হয়, সে জন্য পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সিএনএন জানাচ্ছে, সব মিলিয়ে সন্ত্রাস ঠেকাতে আসছে বিশ্বকাপ ফুটবলে ব্যয় হবে ১০০ কোটি ডলার। বিশ্বজুড়ে চলা অস্থিরতার কারণেই নিরাপত্তা ইস্যুকে বড় করে দেখছে ফিফা। কারণ এখন সন্ত্রাসী হামলা থেকে কোনো কিছুই নিরাপদ নয়।