Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 5:14 am

সন্ধ্যা নামতেই বইমেলায় মানুষের ঢল

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেখে বোঝার উপায় নেই যে, বইমেলার দ্বিতীয় দিন। মানুষের ভিড়, হই-হুল্লোড়, তরুণ-তরুণীদের ঘোরাফেরা, ছবি-সেলফি আর বইয়ের কেনাকাটায় পুরোদমে জমজমাট অমর একুশে বইমেলা। বেলা ১১টায় মেলা শুরুর পর মানুষের উপস্থিতি কম থাকলেও বিকাল থেকে তা বাড়তে থাকে। এরপর সন্ধ্যা নামতেই যেন পুরো এলাকায় ঢল নামে মানুষের।

গতকাল শুক্রবার সরেজমিনে বইমেলার বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণ ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। মেলায় আগত পাঠক-দর্শনার্থীরাও বলছেন, সাধারণত এমন দৃশ্য মেলার শেষের দিকে অথবা মেলার সময় অর্ধেক গড়ানোর পরে দেখা যায়। তবে আজ ছুটির দিন হওয়ার সুবাদে এবং পরিবেশও অনুকূলে থাকার কারণে বইমেলায় মানুষের উপস্থিতি বেড়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সায়মা নাহার দিনা বলেন, শুরুর দিকে হওয়ার কারণে ভিড় কম হবে এমনটি ভেবে মেলায় এসেছিলাম। কিন্তু এসে দেখি অনেক মানুষ এসেছেন। মনে হচ্ছে, আজকে ছুটির দিন হওয়ায় মানুষের উপস্থিতি বেড়েছে। সাধারণত অন্যান্য বছর বইমেলার শুরুর দিকেই এমন উপস্থিতি দেখা যায় না। তবে এবারের পরিসর বাড়ানো হয়েছে, যার কারণে প্রবেশপথে হকার কিংবা অন্য সমস্যাগুলো একেবারে নেই বললেই চলে।

দর্শনার্থী আসিফ হাওলাদার বলেন, মেলার সার্বিক পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্ট। এখন পর্যন্ত তেমন কোনো সমস্যা চোখে পড়েনি। তবে মানুষের ভিড় শুরুর দিকেই বেড়েছে। এবার আশা করা যায়, বেশ জমজমাট বইমেলা হবে। এখনও কোনো বই কেনাকাটা করিনি। ঘুরে দেখছি। পছন্দ হলে অবশ্যই নিয়ে নেব। তবে এখনও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে বেশ কয়েকটি স্টলের সাজসজ্জা এবং আনুষঙ্গিক কার্যক্রম চালাতে দেখা গেছে।

বিষয়টি নিয়ে বইমেলা কমিটির সদস্য সচিব ড. কেএম মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রকাশকদের সঙ্গে বসেই সব সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সে অনুযায়ী ২৩ তারিখেই স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সময় কোনো অজুহাত নয়। অধিকাংশ প্রকাশনীই প্যাভিলিয়ন ও স্টল নির্মাণ করে ফেলছে। তাদের তো সময় লাগেনি। এরা কেন এখনও কাজ শেষ করতে পারেনি?

তিনি বলেন, বইমেলায় ছোট ছোট স্টলগুলোর কাজ কম। বিষয়টি মনিটরিংয়ের জন্য আমি লোক পাঠিয়েছি। তারা রিপোর্ট দিলেই সিদ্ধান্ত নেব।

উল্লেখ্য, বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এবার বইমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট জায়গায়। একাডেমি প্রাঙ্গণে ১২০টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৩টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৫১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৬৪টি ইউনিট, অর্থাৎ মোট ৬৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৯৩৭টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মেলায় ৩৭টি (একাডেমি প্রাঙ্গণে একটি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৩৬টি) প্যাভিলিয়ন রয়েছে।