Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 4:35 pm

সপ্তম দিনের মতো চলছে রাবি শিক্ষকদের সর্বাত্মক কর্মবিরতি

প্রতিনিধি, রাবি: সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয় স্কিম’ প্রত্যাহার ও শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবিতে টানা সপ্তম দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষকেরা।

রোববার (০৭ জুলাই) বেলা ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে এ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।

কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ওমর ফারুক সরকার বলেন, ‘আমাদের হিসাব বুঝিয়ে লাভ নাই। আমাদের আইন বুঝাইয়া লাভ নাই। রাতের অন্ধকারে প্রজ্ঞাপন দিবেন, আবার সেই প্রজ্ঞাপন সংশোধনও করবেন। তার অধিকার আপনাকে কে দিয়েছে? এই প্রত্যয় স্কিমের দায়িত্ব অর্থ মন্ত্রণালয় ব্যতীত কেউ নিচ্ছে না। শুধু এই মন্ত্রণালয়ে যাঁরা বসে আছেন, তাঁরাই কি সব? আমাদের কি বিশেষজ্ঞ কেউ নাই? এর পরিবর্তে আমাদের নতুন কিছু চিন্তাভাবনা দরকার। আমাদের সঙ্গে বসে কথা বলেন, কেন আমরা এটাকে যৌক্তিক দাবি বলছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা গবেষণায় ও পড়াশোনায় থাকতে চাই। তাঁদের রাস্তায় নামাবেন না।’

কর্মসূচিতে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘সরকারের সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি খুবই প্রশংসনীয় ও জনকল্যাণমূলক উদ্যোগ ছিল, কিন্তু যাঁরা এর দায়িত্বে ছিল তাঁরা সফলভাবে এই উদ্যোগকে বিতর্কিত করেছেন। তবে আমরা প্রত্যয় স্কিম বাতিলের কথা বলছি না। প্রত্যয় স্কিমে ৪০৩ ধরনের শ্রেণি রয়েছে। তারা যেহেতু কোনো আন্দোলন করছে না, সেহেতু আমরা তাদের দায়িত্ব নিতে পারব না। আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি, এই প্রত্যয় স্কিম থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নাম প্রত্যাহার করার জন্য। কিছু স্বার্থান্বেষী মহল আমাদের এ অবস্থান কর্মসূচিকে অন্যদিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তবে তারা সফল হবে না। আমরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাব।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় শতাধিক শিক্ষক ছিলেন এ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে বিবৃতি প্রদান, গণস্বাক্ষর সংগ্রহ, মানববন্ধন, প্রতীকী কর্মবিরতি, স্মারকলিপি প্রদান এবং অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময়ে সরকারের তরফ থেকে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় গত ২৫, ২৬ ও ২৭ জুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অর্ধদিবস এবং ৩০ জুন পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালিত হয়। এছাড়াও ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন তারা।