সপ্তাহজুড়ে লেনদেনের নয় শতাংশ ফু-ওয়াং ফুডের

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেনের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে উঠে আসে ফু-ওয়াং ফুড লিমিটেড। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির মোট ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৮২ হাজার ৮৬০টি শেয়ার ১৯৩ কোটি ৪৪ লাখ ৬০ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ বেড়েছে।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কোম্পানটির শেয়ারদর ৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ বা ১ টাকা ৯০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৩৩ টাকা ১০ পয়সায় লেনদেন হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনভর শেয়ারটির দর সর্বনি¤œ ৩২ টাকা ৭০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩৫ টাকা ৬০ পয়সায় ওঠানামা করে। এদিন কোম্পানিটির এক কোটি ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ২৮৬টি শেয়ার ৮ হাজার ৮২৩বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৩৮ কোটি ৬৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বোচ্চ দর ৪৬ টাকা ৯০ পয়সা ও সর্বনিন্ম ২৩ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ সমাপ্ত প্রথমার্ধের বা ছয় মাসের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৪ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ৭৪ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৮ পয়সা। ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ২৬ পয়সা (লোকসান) এবং ৩০ জুন, ২০২২ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ১৮ পয়সা। এ হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৪৫ পয়সা।

খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের এই কোম্পানিটি ২০০০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন করছে। কোম্পানিটির ১৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১১০ কোটি ৮৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা। কোম্পানির মোট ১১ কোটি ৮ লাখ ৩৯ হাজার ২৮৪ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ৬ দশমিক ০৫ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে এক দশমিক ০১ শতাংশ এবং বাকি ৮৫ দশমিক ০৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।

অন্যদিকে গত সপ্তাহে লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে উঠে আসে সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেড। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির মোট ৫৪ লাখ ৩৭ হাজার ৬৭২টি শেয়ার ৯৮ কোটি ২৮ লাখ ৪০ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ৪ শতাংশ কমেছে।

তালিকায় তৃতীয় শীর্ষ অবস্থানে উঠে আসে রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির মোট ৭৯ লাখ ২৫ হাজার ১৭৮টি শেয়ার ৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৪ দশমিক ১৭ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ১০ দশমিক ৮২ শতাংশ বেড়েছে। এর পরের অবস্থানে থাকা সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেডের গত সপ্তাহে মোট ১২ লাখ ৩৩ হাজার ১৯টি শেয়ার ৮১ কোটি ৮৭ লাখ ৩০ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ১ দশমিক ৭০ শতাংশ কমেছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০