নিজস্ব প্রতিবেদক: সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেনের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে উঠে আসে জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেড। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির মোট ২ কোটি ৮৬ লাখ ৪৯ হাজার ২৩৪টি শেয়ার ৩০০ কোটি ৯ লাখ ২৩ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ১০ দশমিক ৫৭ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ৭ দশমিক ৮৯ শতাংশ বেড়েছে।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবেস ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৫৫ শতাংশ বা ৬০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ১০৯ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ৫৬ লাখ ৮ হাজার ৫৪৫ শেয়ার মোট ৮ হাজার ১৫৬ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৬১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১০৮ টাকা ২০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১১২ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৬৬ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ১৬৬ টাকায় ওঠানামা করে।
জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেড ২০১৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১১৫ কোটি ৮১ লাখ ৭০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ৭১ কোটি ৯০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১১ কোটি ৫৮ লাখ ১৭ হাজার ৩২৮ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৩০ দশমিক ০৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর ২৩ দশমিক ২১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ৪৬ দশমিক ৭০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসবাবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পযালোচনা করে জেনেক্স ইনফোসিসের পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১১ শতাংশ নগদ ও ২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছে তিন টাকা ৩৬ পয়সা। ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৫৩ পয়সা এবং আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৫ টাকা ৮ পয়সা। এর আগের হিসাববছরে অর্থাৎ ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসবাবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পযালোচনা করে শেয়ারহোল্ডোরদের জেনেক্স ইনফোসিসের পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। সে সময় তাদের ইপিএস হয়েছিল তিন টাকা ২২ পয়সা।
অন্যদিকে গত সপ্তাহে লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে উঠে আসে বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির মোট এক কোটি ৮৭ লাখ ৯৬ হাজার ৮১৮টি শেয়ার ১৬৯ কোটি ২১ লাখ ৪৭ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ কমেছে। এর পরের অবস্তানে ছিল ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেড। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির মোট এক কোটি ৩৭ লাখ ৮৩ হাজার ৩১৪টি শেয়ার ১৪৮ কোটি ৪৮ লাখ ১১ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৫ দশমিক ২৩ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ৬ দশমিক ১৮ শতাংশ বেড়েছে।
