সপ্তাহজুড়ে লেনদেনের ৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেনের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে উঠে আসে ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির মোট ১ কোটি ৭ লাখ ২৫ হাজার ১১১টি শেয়ার ৭৯ কোটি ৫৮ লাখ ৪০ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর শূন্য দশমিক ২৯ শতাংশ বেড়েছে।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কোম্পানিটির শেয়ারদর ৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ বা ২ টাকা ৪০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৬৮ টাকা ৬০ পয়সায় লেনদেন হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনভর শেয়ারটির দর সর্বনিন্ম ৬৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৭১ টাকা ৯০ পয়সায় ওঠানামা করে। এদিন কোম্পানিটির ১৭ লাখ ১৪ হাজার ৬৪২টি শেয়ার ২ হাজার ৯৬১ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১১ কোটি ৯৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বোচ্চ দর ৭৮ টাকা ৭০ পয়সা ও সর্বনিন্ম ৩২ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

এদিকে সম্প্রতি অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চাইলে শেয়ারদর বাড়ার পেছনে কোনো মূল্যসংবেদনশীল তথ্য নেই বলে জানিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। জানা গেছে, কোম্পানিটির গত ২০ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে শেয়ারদর বাড়ে। ২০ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৬২ টাকা ২০ পয়সা, যা গত ২০ সেপ্টেম্বরে ৭৫ টাকা ২০ পয়সায় লেনদেন হয়। অর্থাৎ ২ কর্মদিবসের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ১৩ টাকা। আর এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএসই। কোম্পানিটির অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে ডিএসই নোটিস পাঠায়। জবাবে কোনো অপ্রকাশিত মূল্যসংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারদর বাড়ছে বলে জানায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।

এদিকে চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন, ২০২৩) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের কোম্পানি ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। জানা গেছে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮১ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪২ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছে ৩৯ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিকে (জানুয়ারি-জুন, ২০২৩) ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৭০ পয়সা, আগের বছরের একই সময় ছিল ১ টাকা ১ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম দুই প্রান্তিকের হিসাবে ইপিএস বেড়েছে ৬৯ পয়সা। ২০২৩ সালের ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ২৭ পয়সা। এছাড়া প্রথম দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১০ পয়সা, অথচ আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৫০ পয়সা।

এদিকে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৭৭ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৬৬ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৩৩ পয়সা। এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ১ টাকা ৫৮ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) ছিল ১৫ টাকা ৩৯ পয়সা। আর আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছিল ২ টাকা ৬ পয়সা। বিমা খাতের কোম্পানিটি ২০২২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা। বিমা খাতের কোম্পানিটির রিজার্ভে রয়েছে ৩২ কোটি ২৩ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ৪ কোটি ৮৪ লাখ ২ হাজার ২৬০ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৪৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৫ দশমিক ০৬ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৪৮ দশমিক ৪০ শতাংশ শেয়ার।

বিষয় ➧

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০