নিজস্ব প্রতিবেদক:সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেনের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে উঠে আসে জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেড। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির মোট ১ কোটি ২৪ লাখ ৩৯ হাজার ৫১৩টি শেয়ার ১১২ কোটি ৯৫ লাখ ৩১ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৬ দশমিক ৩০ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ২ দশমিক ৫৯ শতাংশ বেড়েছে।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবেস ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৩ দশমিক ০৩ শতাংশ বা ২ টাকা ৮০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৯৫ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ২৮ লাখ ৫৩ হাজার ৬৮৩ শেয়ার মোট ৪ হাজার ২২৩ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ২৬ কোটি ৯১ লাখ টাকা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৯১ টাকা ৯০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৯৫ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৬৬ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ১৪৪ টাকায় ওঠানামা করে।
জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেড ২০১৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১১৫ কোটি ৮১ লাখ ৭০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ৭১ কোটি ৯০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১১ কোটি ৫৮ লাখ ১৭ হাজার ৩২৮ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৩২ দশমিক ৮০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর ২৮ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ৩৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসবাবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে জেনেক্স ইনফোসিসের পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১১ শতাংশ নগদ ও ২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছে তিন টাকা ৩৬ পয়সা। ৩০ জুন তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৫৩ পয়সা এবং আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৫ টাকা ৮ পয়সা। এর আগের হিসাববছরে অর্থাৎ ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসবাবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জেনেক্স ইনফোসিসের পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। সে সময় তাদের ইপিএস হয়েছিল তিন টাকা ২২ পয়সা।
অন্যদিকে গত সপ্তাহে লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে উঠে আসে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির মোট ৭৫ লাখ ২২ হাজার ৪৪১টি শেয়ার ৯৭ কোটি ৯৫ লাখ ৫১ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ৮১ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ বেড়েছে। তালিকায় তৃতীয় শীর্ষ অবস্থানে উঠে আসে এডিএন টেলিকম লিমিটেড। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির মোট ৭০ লাখ ৬৬ হাজার ৯৫৫টি শেয়ার ৯২ কোটি ১৯ লাখ ২৫ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৫ দশমিক ১৪ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ১৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ বেড়েছে। এরপরের অবস্থানে উঠে আসে সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেড। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির মোট ৩১ লাখ ৮২ হাজার ৪৪৯টি শেয়ার ৮৮ কোটি ৬৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৪ দশমিক ৯৪ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ৩ দশমিক ৪৭ শতাংশ কমেছে। আর লেনদেনের তালিকায় পঞ্চম অবস্থানে উঠে আসে শাইনপুকুর সিরামিকস লিমিটেড। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির মোট এক কোটি ৯২ লাখ ৫৫ হাজার ৭৯৬টি শেয়ার ৮৬ কোটি ৭৭ লাখ ৭৯ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ বেড়েছে।