নিজস্ব প্রতিবেদক: সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেনের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে উঠে আসে ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট পিএলসি। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির মোট এক কোটি ৭১ লাখ ৫৩ হাজার ২১৮টি শেয়ার ১২৪ কোটি ৮৯ লাখ ৭ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৭ দশমিক ৬২ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ১৪ দশমিক ১১ শতাংশ বেড়েছে।
এদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২২) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) এক টাকা ২৫ পয়সা বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা গেছে, চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২২) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ২৭ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় ৭৩ পয়সা বেড়েছে। আর প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২২) ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৫২ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ২৭ পয়সা। অর্থাৎ প্রথমার্ধের হিসাবে ইপিএস এক টাকা ২৫ পয়সা বেড়েছে। এছাড়া ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৮৪ টাকা ৭৯
পয়সা, যা ২০২২ সালের ৩০ জুনে ছিল ৮৪ টাকা ৭৩ পয়সা। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ২৪ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ৪৭ পয়সা ছিল।
ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের এই কোম্পানিটি ২০১২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২৯৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৫৮১ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ২৯ কোটি ৪৪ লাখ শেয়ার রয়েছে। কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা ২৭ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৮৪ টাকা ৭৩ পয়সা। এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৩ পয়সা (লোকসান)। ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৮৮ টাকা ৩ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৯৪ পয়সা।
অন্যদিকে গত সপ্তাহে লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে উঠে আসে ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেড। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির মোট এক কোটি ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪৯টি শেয়ার ১০৯ কোটি ২৬ লাখ ২৫ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ৫ দশমিক ৭৪ শতাংশ বেড়েছে। তালিকায় তৃতীয় শীর্ষ অবস্থানে উঠে আসে জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেড। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির মোট ৭৮ লাখ ৬২ হাজার ৩৩টি শেয়ার ৭৪ কোটি ২৬ লাখ ৬৯ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেড়েছে। এরপরের অবস্থানে উঠে আসে জেমিনি সি ফুড লিমিটেড। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির মোট ১৪ লাখ ৬১ হাজার ১৯৫টি শেয়ার ৭৩ কোটি ৮২ লাখ ৮৭ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৪ দশমিক ৫০ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ১২ দশমিক ১০ শতাংশ বেড়েছে। আর লেনদেনের তালিকায় পঞ্চম অবস্থানে উঠে আসে সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেড। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির মোট ২৩ লাখ ১০ হাজার ৮৫৭টি শেয়ার ৬৯ কোটি ৬৭ লাখ ১৫ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৪ দশমিক ২৫ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ৬ দশমিক ৭২ শতাংশ কমেছে।