সপ্তাহজুড়ে চার কোম্পানির লভ্যাংশ ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক: গত সপ্তাহজুড়ে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে তালিকাভুক্ত পাঁচ কোম্পানি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স: সদ্য সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি ১৫ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাসসহ মোট ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় বিআইএএম অডিটরিয়াম, ৬৩ নিউ ইস্কাটন, ঢাকায় বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৭ আগস্ট।
৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে করে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য আট শতাংশ নগদ ও ১৭ শতাংশ বোনাসসহ মোট ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে।
কোম্পানিটি ২০১৫ সমাপ্ত হিসাববছরে কোনো লভ্যাংশ দেয়নি, কিন্তু আগের বছর অর্থাৎ ২০১৪ সালে ১৭ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে, যা আগের বছর ছিল সাত শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস।
‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ২০০৬ সালে পুজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ২৫ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১২ কোটি ১৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং এক কোটি ২১ লাখ ৩৫ হাজার ৬১৪টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৩৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগরীদের ২৫ দশমিক ৭৭ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে বাকি ৩৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ শেয়ার।
মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স: সদ্যসমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির ২০ শতাংশ নগদ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা দিয়েছে। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি অডিটরিয়াম, ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারস বাংলাদেশ, ১৬০/এ, কাকরাইল, ভিআইপি রোড, ঢাকায় এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ আগস্ট।
৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাসসহ মোট ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে।
কোম্পানি ২০১৫ সালের সমাপ্ত হিসাববছরে ২০ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে, যা আগের বছর ছিল ১৩ শতাংশ নগদ ও ২০ শতাংশ বোনাস।
কোম্পানিটি ২০০৫ সালে পুজিবাজরের তালিকাভুক্ত হয়। ৬০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩৩ কোটি ৫২ লাখ ২০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির তিন কোটি ৩৫ লাখ ২১ হাজার ৯১৪টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ১৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগরীদের ৩৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে বাকি ৪৪ দশমিক শূন্য আট শতাংশ শেয়ার।
সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স: সদ্য সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি দুই শতাংশ বোনাস লভ্যাংশের ঘোষণা দিয়েছে। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় ট্রাস্ট মিলনায়নতন, ৫৪৫, পুরোনো বিমানবন্দর সড়ক, তেজাগাঁও, ঢাকায় এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮ আগস্ট।
২০১৬ ও ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। কিন্তু এর আগের বছর ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের ছয় শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে, যা আগের বছরের চেয়ে এক শতাংশ বেশি।
‘জেড’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩৫ কোটি ১০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির তিন কোটি ৫০ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৪১ দশমিক ৯৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ২৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে বাকি ৩১ দশমিক ৫৭ শতাংশ শেয়ার।
ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স: ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি ২০ শতাংশ নগদ ও ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় এনএলআই টাওয়ার অডিটরিয়াম, ৫৪ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকায় এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ আগস্ট।
২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ২০ শতাংশ নগদ ও ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ১৯৯৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ২০১৫ সালের সমাপ্ত হিসাববছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০ শতাংশ নগদ ও ২০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল, যা আগের বছর ছিল ৪৫ শতাংশ নগদ।
কোম্পানিটির ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৯৪ কোটি ৩৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা। ৯ কোটি ৪৩ লাখ ৬৬ হাজার ৯৪১টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৫৩ দশমিক ৫১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ৪১ দশমিক ৮৬ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে বাকি চার দশমিক ৬৩ শতাংশ শেয়ার।