Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 1:30 am

সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ডিম-মুরগির

নিজস্ব প্রতিবেদক: সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ডিম ও মুরগির। অপরদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য পণ্যের দাম। গতকাল সকালে রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

বাজারে বেশিরভাগ সবজি আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে প্রতিকেজি বেগুন (গোল) ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৫০ থেকে ৪০, করলা ৬০, ইন্ডিয়ান টমেটো ১০০, শিম ১২০ এবং বরবটি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চালকুমড়া প্রতিটি ৪০ টাকা, প্রতিটি লাউ আকারভেদে ৪০ থেকে ৫০, মিষ্টিকুমড়ার কেজি ৪০, চিচিঙ্গা ৪০, পটোল ৪০, ঢেঁড়স ৪০, লতি ৮০ ও কাঁকরোল ৮০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজিতে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়। বাজারে কাঁচামরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। কাঁচকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। শসা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৬০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়।

এছাড়া শুকনা মরিচ প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ২৫০ টাকায়, রসুনের কেজি ৮০ থেকে ১৩০ টাকায়, আদা ১০০ টাকায় এবং হলুদ ১৬০ টাকা থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ইন্ডিয়ান ডাল কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। দেশি ডাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়।

এসব বাজারে কেজিপ্রতি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। বাজারে গত সপ্তাহের দামে বিক্রি হচ্ছে খুচরা আটা। প্রতি কেজি আটা বিক্রি হচ্ছে ৩৩ থেকে ৩৫ টাকায়। 

দামে বেড়েছে ডিমের। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকায়। দেশি মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। সোনালী (কক) মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। 

১১ নম্বর বাজারের ডিম বিক্রেতা মো. নূরে আলম বলেন, বাজারে অন্যান্য পণ্যের দাম বেশি থাকায় চাহিদা বেড়েছে ডিমের। চাহিদা অনুযায়ী ডিমের উৎপাদন ও সরবরাহ না থাকায় দাম বেড়েছে।

সোনালি (কক) মুরগির দাম বেড়ে কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। লেয়ার মুরগি প্রতি কেজি ২৪০ টাকায়। ১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. রুবেল বলেন, খামারিরা বলছেন উৎপাদন কম। উৎপাদন কমের কথা বলে খামারিরা বাড়তি দাম নিচ্ছেন। খামারিদের সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে মুরগির দাম। 

তিনি আরও বলেন, চাহিদা অনুযায়ী বাজারে মুরগির সরবরাহ কম। গত বছর ঠিক শীতের আগে আগে বাজারে বেড়েছিল মুরগির দাম। ঠিক একইভাবে এ বছরও দাম বেড়েছে। মুরগির দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনা আছে।

অন্যদিকে বাজারে ডাল, তেল, চিনি ও দেশি আদার দামও বেড়েছে; তবে সরু চাল ও আমদানি করা আদার দাম ‘সামান্য’ কমেছে বলে দোকানিরা জানিয়েছেন।

আমদানি করা ভারতীয় মোটা মসুর ডালের কেজি ৯০ থেকে ১০০ টাকা, দেশি ১১০ থেকে ১২০ টাকা এবং অস্ট্রেলিয়ান ক্যাঙ্গারু ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডালের দাম কেজিতে চার থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান।

তিন থেকে চার টাকা কেজিতে বেড়ে খোলা চিনি ৮০ এবং প্যাকেট ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি আদা ১২০ থেকে ১৩০ টাকা এবং চায়না ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা যায়। পাম অয়েল লুজ ১২২ থেকে ১২৬ টাকা ও সুপার ১২৫ থেকে ১৩২ টাকা লিটার দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে সয়াবিন খোলা বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়, আর বোতলজাত সয়াবিন লিটারপ্রতি ১৫০ টাকা এবং কোম্পানি ভেদে পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন ৬৬০ থেকে ৭১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রামপুরা বাজারের তাহের স্টোরের মালিক আবু তাহের বলেন, ‘গত কয়ের দিনের মধ্যে ডালের দামটা বেড়েছে, চিনিও বেড়েছে। তেলের দাম বেড়েছে শুনেছি, কিন্তু নতুন দামের তেল আমাদের এখানে এখনও আসেনি। কিন্তু আজকে আদা দেশিটা একটু দাম বেশি, তবে চায়নার দাম একটু কম আছে।’

তিনি বলেন, ‘সাধারণত দেশের বাজারে চায়না আদার চেয়ে দেশি আদার দাম কম থাকলেও এবার উল্টো হয়েছে। আমদানি বেশি বলে চায়না আদার দাম কম। কিন্তু দেশি আদা কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে।’

এদিকে ব্যবসায়ীরা জানান, সপ্তাহের ব্যবধানে সরু চাল মিনিকেট ও নাজিরশাইলের দাম কেজিতে এক থেকে দুই টাকা কমেছে। মিনিকেট ও নাজিরশাইল ৫৮ থেকে ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে মোটা পাইজাম, লতা ও স্বর্ণা চালের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।