সপ্তাহের ব্যবধানে পাম অয়েলের দাম কমেছে ৯ শতাংশ

শেয়ার বিজ ডেস্ক : সমজাতীয় ভোজ্যতেলের দাম কমায় মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের দামে প্রভাব পড়েছে। গতকাল সাপ্তাহিক হিসেবে পণ্যটির দাম কমেছে ৯ শতাংশের বেশি। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সয়াবিনের দাম কমেছে। খবর: বিজনেস রেকর্ডার।

বুরসা মালয়েশিয়া ডেরিভেটিভস এক্সচেঞ্জে ফিউচার মার্কেটে গত শুক্রবার প্রতি টন পাম অয়েল বিক্রি হয়েছে দুই হাজার ২২৬ রিঙ্গিত বা ৫১৯ ডলার ১২ সেন্টে। আগের দিনের তুলনায় এটি ৫১ রিঙ্গিত বা দুই দশমিক দুই শতাংশ কম। সাপ্তাহিক হিসেবে পণ্যটির দাম কমল ৯ শতাংশ।

সাধারণত ডলারের বিপরীতে মালয়েশিয়ার রিঙ্গিতের দামের ওঠানামার ওপর বিদেশি ক্রেতাদের কাছে পাম অয়েলের চাহিদানির্ভর করে। আর এ কারণে পণ্যটির দামে প্রভাব পড়ে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে সব জাতীয় ভোজ্যতেলের দামে হ্রাস-বৃদ্ধির কারণেও পাম অয়েলের দামে পরিবর্তন আসে।

কোয়ালালামপুরের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম কমেছে। এছাড়া জ্বালানি তেলের দাম ১৯৯১ সালের পর একদিনে সর্বোচ্চ পতন হয়েছে। এসব কারণে মালয়েশিয়ান অয়েলের দাম কমেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো বোর্ড অব ট্রেডে ফিউচার মার্কেটে গত শুক্রবার পাম অয়েলের সমজাতীয় তেল সয়াবিনের দাম দুই দশমিক চার ৩৯ শতাংশ কমেছে। চীনের ডালিয়ানা কমোডিটি এক্সচেঞ্জে এ ভোজ্যতেলের দাম কমেছে দুই দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ বাজারে পাম অয়েলের চুক্তি কমেছে তিন দশমিক ৩৪ শতাংশ।

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণে গত সপ্তাহে জ্বালানি তেলের দাম অস্বাভাবিক হারে কমে গেছে। সৌদি আরব আচমকা তেলের দাম কমিয়ে এপ্রিলে নাটকীয়ভাবে উৎপাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সৌদি আরব ও রাশিয়ার মধ্যে পণ্যটির উত্তোলন হ্রাস চুক্তি নিয়ে সংঘাতের জেরেই রিয়াদ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তেলের দাম প্রায় ৩০ শতাংশ কমে যাওয়ায় বিশ্বজুড়ে পুঁজিবাজারেও ধস নেমেছে।

করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বজুড়ে সংকটের প্রেক্ষাপটে জ্বালানি তেলের উৎপাদনকারী দেশগুলোর সংগঠন ওপেক উৎপাদন কমিয়ে বাজারে মূল্য স্থিতিশীল করার প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু রাশিয়া সে প্রস্তাব মানতে নারাজ হওয়ায় সৌদি আরব ‘শিক্ষা দিতে’এমন নাটকীয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০