Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 5:28 am

সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক : সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। তবে গরু ও খাসির মাংস এবং চলতি সপ্তাহে গ্রীষ্মকালীন সবজির বাজার অপরিবর্তিত আছে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর তালতলা ও শেওড়াপাড়া বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ১৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে এসব বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি ১৮০ টাকা দরে।

বিক্রেতারা বলছেন পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বাজারেও ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে।

শেওড়াপাড়া বাজারের মুরগি বিক্রেতা রাকিব বলেন, গত সপ্তাহের চেয়ে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। পাইকারি বাজারে দাম বাড়ায় আমরাও দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছি। তবে লেয়ার মুরগি গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। এছাড়া দেশি মুরগির দাম আগের মতোই আছে।

তিনি আরও বলেন, সোনালি ৩১০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৫২০ টাকা এবং লেয়ার ৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।

তবে ক্রেতারা বলছেন, কারণ ছাড়াই নানা অজুহাতে বিক্রেতারা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। খুচরা বাজারে কোনো নজরদারি না থাকায় এমনটি হচ্ছে বলে মনে করেন তারা।

তালতলা বাজারে ক্রেতা সাইদুর রহমান বলেন, গত সপ্তাহে ১৮০ টাকা দরে মুরগি কিনেছি। আজ ১৯০ টাকায় কিনলাম। বিক্রেতারা নানা অজুহাতে দাম বাড়িয়ে সুবিধা নিচ্ছেন। বাজার মনিটরিংয়ের দুর্বলতার কারণে এমনটি হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এসব বাজারে গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজিপ্রতি এক হাজার ৫০ থেকে এক হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

গতকাল এসব বাজারে সবজির দাম অপরিবর্তিত ছিল। বাজারে বেগুন ৮০ থেকে ১২০ টাকা, করলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৪০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, ধুন্দুল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৮০ টাকা, প্রতিটি লাউ ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, লেবুর হালি ১০ থেকে ২০ টাকা, ধনেপাতা কেজি ৪০০ টাকা, কলার হালি ৩০ টাকা, জালিকুমড়া ৪০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া কেজিপ্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, আলু ৪৫ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৯০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৭০ টাকা এবং কাঁচা মরিচ ১০০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।

তবে বাজারগুলোয় শীতকালীন সবজি কিছুটা চড়া দামে বিক্রি হয়ে। বাজারে ছোট বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ফুলকপি ছোট আকারের ৪০ থেকে ৫০ টাকা, প্রতি কেজি মুলা ৪০ টাকা, শিম ২০০ থেকে ২৪০ টাকা, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ১০০ থেকে ১৬০ টাকা, কচুরমুখী ৮০ টাকা এবং গাজর ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।

বাজারগুলোয় এক ডজন লাল ডিম ১৫০ টাকায়, হাঁসের ডিম ২২০ টাকায় ও দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়।

এসব বাজারে এক কেজি শিং মাছ (আকারভেদে) বিক্রি হয় ৩০০ থেকে ৬০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকায়, মাগুর মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়, মৃগেল ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকায়, পাঙাশ ১৯০ থেকে ২২০ টাকায়, ইলিশ প্রতি কেজি (আকারভেদে) এক হাজার ৪০০ থেকে এক হাজার ৬০০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ থেকে এক হাজার টাকায়, বোয়ালমাছ প্রতি কেজি ৮০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকায়, কাতল ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পোয়া মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, কই মাছ ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায়, মলা ৪৫০ টাকায়, বাতাসি টেংরা এক হাজার ২০০ টাকায় এবং পাঁচমিশালি চাষের মাছ ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।