Print Date & Time : 26 June 2025 Thursday 12:53 pm

সপ্তাহের শেষদিনে ডিএসইতে সূচক ও লেনদেন বেড়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: গতকাল বৃহস্পতিবার সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক ও লেনদেন বেড়েছে। এদিন বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। বাকি শেয়ারের মধ্যে বেশিরভাগ শেয়ারের দর বেড়েছে একইসঙ্গে লেনদেন বেড়েছে প্রায় ১৪ কোটি টাকার। গতকাল সারাদিন উত্থান পতনের মধ্য দিয়ে বাজারে লেনদেন হয়। তবে শেষ সময়ে বাজারে সূচকের ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা যায়। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) একই চিত্র লক্ষ্য করা গেছে।

বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স চার দশমিক ৪৫ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ১১ শতাংশ বেড়ে তিন হাজার ৯৬৯ দশমিক ২৮ পয়েন্টে পৌছায়। ডিএসইএস বা শরিয়াহ সূচক শূন্য দশমিক ৯৩ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ১০ শতাংশ বেড়ে ৯১৯ দশমিক ৫০ পয়েন্টে অবস্থান করে। অন্যদিকে ডিএস৩০ সূচক দুই দশমিক ৯৮ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ২২ শতাংশ বেড়ে এক হাজার ৩৩০ দশমিক ৩১ পয়েন্টে স্থির হয়।

গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হয় ৬৮ কোটি ৩৫ লাখ ৭৩ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৫৪ কোটি ১৩ লাখ ৯৯ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ১৪ কোটি ২১ লাখ ৭৪ হাজার টাকার। এদিন তিন কোটি ১০ লাখ ৬৯ হাজার ৩৮০টি শেয়ার ১৪ হাজার ৬৮৬ বার হাতবদল হয়।

এদিন মোট ২৬৫টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ২৯টির এবং কমেছে ১৬টির। বাকি ২২০টি কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল ডিএসইর বাজার মূলধন ১০২ কোটি ৭৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ১০ হাজার ৮৩৪ কোটি ৭৮ লাখ ১৮ হাজার টাকায়।

গতকাল টাকার অঙ্কে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। কোম্পানিটির আট কোটি ২৬ লাখ ৭৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। শেয়ারটির দর এক টাকা ৩০ পয়সা বেড়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা রেকিট বেনকিজার বাংলাদেশ লিমিটেডের দুই কোটি ৮৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দর কমেছে ১২৫ টাকা ২০ পয়সা। বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্ল কোম্পানি লিমিটেডের দুই কোটি ৭৮ লাখ ৪৮ হাজার টাকার, শেয়ারদর ৩০ পয়সা বেড়েছে।

এরপরের অবস্থানগুলোতে থাকা সামিট পাওয়ারের দুই কোটি ২৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়। ইন্দো-বাংলা ফার্মার এক কোটি ৬৪ লাখ টাকার, লিন্ডে বাংলাদেশের এক কোটি ৫২ লাখ টাকার, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের এক কোটি ৪১ লাখ টাকার, ফার্মা এইডস লিমিটেডের এক কোটি ৩০ লাখ টাকার, ওয়াটা কেমিক্যালের এক কোটি ২৬ লাখ টাকার এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের এক কোটি ২৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।

দুই দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ বেড়ে দর বৃদ্ধির শীর্ষে ছিল ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের এক দশমিক ৮৮ শতাংশ, প্যারমাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের এক দশমিক ৫৩ শতাংশ, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের এক দশমিক ৪৭ শতাংশ, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের এক দশমিক ৩৭ শতাংশ, ফার্মা এইডসের এক দশমিক ৩০ শতাংশ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের এক দশমিক ২১ শতাংশ, এক্মি ল্যাবরেটরিজের শূন্য দশমিক ৮১ শতাংশ, জেএমআই সিরিঞ্জের শূন্য দশমিক ৭৮ শতাংশ এবং যমুনা ব্যাংকের শূন্য দশমিক ৬২ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে।

অন্যদিকে ছয় দশমিক ৪০ শতাংশ দর কমে পতনের শীর্ষে উঠে আসে আরামিট সিমেন্ট লিমিটেড। রেকিট বেনকিজারের দর তিন দশমিক ১০ শতাংশ, এবি ব্যাংকের দর দুই দশমিক ৮১ শতাংশ, পাওয়ার গ্রিডের দর এক দশমিক ৬৫ শতাংশ, আইসিবি এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট মিউচুয়াল ফান্ড ওয়ান: স্কিম ওয়ানের দর এক দশমিক ৫৮ শতাংশ, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের দর এক দশমিক ৫৭ শতাংশ, ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের শূন্য দশমিক ৭৮ শতাংশ, প্রগিত ইন্স্যুরেন্সের দর শূন্য দশমিক ৬১ শতাংশ, প্রাইম ইন্স্যুরেন্সের শূন্য দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং ন্যাশনাল টি কোম্পানির দর শূন্য দশমিক ৫৪ শতাংশ কমেছে।

অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএসসিএক্স শূন্য দশমিক ৬৩ পয়েন্ট বেড়ে ছয় হাজার ৮১৮ দশমিক ২৬ পয়েন্টে এবং সার্বিক সূচক সিএএসপিআই পাঁচ দশমিক ৯৪ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ বেড়ে ১১ হাজার ২৬২ দশমিক শূন্য ৯ পয়েন্টে অবস্থান করে। সিএসইতে ১১১টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়েছে। দর বেড়েছে ২০টির, কমেছে ১২টির এবং ৭৯টির দর অপরিবর্তিত ছিল। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৯৩ কোটি ৬৪ লাখ ৩৯ হাজার ৬৫৭ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১১ কোটি ৬০ লাখ ৬৫ হাজার ৪৭৮টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৮২ কোটি তিন লাখ ৭৪ হাজার টাকার।

সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানি লিমিটেড। কোম্পানিটির ৮৫ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। জেনেক্স ইনফোসিসের তিন কোটি চার লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। এরপরে যমুনা অয়েলের দুই কোটি ৪২ লাখ ৪০ হাজার টাকার, সামিট পাওয়ারের ৪২ লাখ ৯০ হাজার টাকার, লাফার্জহোলসিমের ৩৯ লাখ ১০ হাজার টাকা, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ৩৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা, বেক্সিমকোর ৩২ লাখ ৬০ হাজার টাকার এবং মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ১৫ লাখ ৯০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।