নিজস্ব প্রতিবেদক: সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেনের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে উঠে আসে এমারাল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির মোট ৫৪ লাখ ৯১ হাজার ৮টি শেয়ার ৭২ কোটি ৫৮ লাখ ৫০ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ বেড়েছে।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ বা ৮ টাকা ২০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ১৩০ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। ওইদিন কোম্পানিটির ১১ লাখ ৮৫ হাজার ৫৭৮টি শেয়ার মোট ৪ হাজার ৭৫ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১৫ কোটি ৯৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ওইদিন শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১২৭ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৩৯ টাকায় হাতবদল হয়। এছাড়া গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ২৮ টাকা ১০ পয়সা থেকে ১৮৮ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
কোম্পানিটি ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৫৯ কোটি ৭১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট ৫ কোটি ৯৭ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ শেয়ার রয়েছে। এর মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩৮ দশমিক ২৬ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১১ দশমিক ২৭ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে বাকি ৫০ দশমিক ৪৭ শতাংশ শেয়ার।
এদিকে চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৩) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি এমারাল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। আর বছরের তুলনায় এ প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে। একই সঙ্গে কোম্পানিটি অন্তর্বর্তীকালীন ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ (উদ্যোক্তা ও পরিচালক ছাড়া) ঘোষণা দিয়েছে। জানা গেছে, চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৯ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ১৪ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ৩৩ পয়সা। এছাড়া ২০২৩ সালের ৩১ মার্চে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ২০ পয়সা (লোকসান)। এছাড়া তিন প্রান্তিকে (জুলাই, ২০২২-মার্চ, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৮৭ পয়সা (ঘাটতি)।
আগের বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ২ টাকা ১৪ পয়সা (ঘাটতি)।