সপ্তাহ শেষে উভয় বাজারে ইতিবাচক গতি

নিজস্ব প্রতিবেদক: সপ্তাহের শেষদিনে উভয় বাজারে ইতিবাচক গতিতে লেনদেন হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রায় ৭৩ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। দীর্ঘদিন পর ডিএসইর লেনদেন ৭০০ কোটি টাকা ছাড়াল। গতকাল লেনদেনের শুরু থেকেই প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কেনার চাপে সূচক ধীরে ধীর ঊর্ধ্বমুখী হয়। দুপুর ১২টার দিকে শেয়ার কেনায় একটু ছন্দপতন হলেও অল্প সময়ের ব্যবধানে তা ঠিক হয়ে যায়। লেনদেন শেষে ডিএসইএক্স সূচক ৮৩ পয়েন্ট ঊর্ধ্বমুখী হয়। বাকি দুই সূচকও ইতিবাচক ছিল। চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক, শেয়ারদর ও লেনদেনে একই চিত্র দেখা গেছে।

বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮৩ দশমিক ৭৮ পয়েন্ট বা এক দশমিক ৮৬ শতাংশ বেড়ে চার হাজার ৫৬৪ দশমিক ৬১ পয়েন্টে অবস্থান করে।

ডিএসইএস বা শরিয়াহ্ সূচক ১৫ দশমিক ১২ পয়েন্ট বা এক দশমিক ৪৬ শতাংশ বেড়ে এক হাজার ৪৫ দশমিক ৮১ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ২০ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট বা এক দশমিক ৩৫ শতাংশ বেড়ে এক হাজার ৫৩৬ দশমিক ৬৩ পয়েন্টে অবস্থান করে। গতকাল ডিএসইর বাজার মূলধন চার হাজার ৯১৬ কোটি টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৪৭ হাজার ৬৬ কোটি ১৫ লাখ ২৬ হাজার টাকায়। ডিএসইতে লেনদেন হয় ৭৩০ কোটি ৫৭ লাখ ৭১ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৬৫৭ কোটি ১৯ লাখ ৯৮ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ৭৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। এদিন ২৯ কোটি ৯০ লাখ ৬৮ হাজার ৬৫২টি শেয়ার এক লাখ ৮৪ হাজার ২৭৯ বার হাতবদল হয়। লেনদেন হওয়া ৩৫৬ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২৫৯টির, কমেছে ৬৫টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৩২টির দর।

গতকাল টাকার অঙ্কে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের খুলনা পাওয়ার। কোম্পানিটির ২৮ কোটি ৬০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দর বেড়েছে তিন টাকা ৬০ টাকা। এরপর লাফার্জহোলসিমের ২৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ৩০ পয়সা। ইন্দোবাংলা ফার্মার ১৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকা লেনদেন হয়। শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ১৯ কোটি ১৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দর কমেছে ৮০ পয়সা। এসএস স্টিলের ১৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ৪০ পয়সা। এছাড়া ওরিয়ন ইনফিউশনের ১৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা, ডরিন পাওয়ারের ১২ কোটি ৫৩ লাখ, এডিএন টেলিকমের ১২ কোটি ৩৮ লাখ, সামিট পাওয়ারের ১২ কোটি ৩৩ লাখ, বেক্সিমকোর ১১ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।

১০ শতাংশ করে বেড়ে ফার কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ, এমএল ডায়িং, সায়হাম টেক্সটাইল দর বৃদ্ধির শীর্ষে অবস্থান করে। ওরিয়ন ফার্মার দর ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ, লিগ্যাসি ফুটওয়্যারের দর ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ, এএফসি এগ্রোর দর ৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ, আফতাব অটোর দর ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ, আরএসআরএম স্টিলের দর ৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ, অ্যাকটিভ ফাইনের দর ৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ, মাইডাস ফাইন্যান্সিংয়ের দর ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ বেড়েছে।

পাঁচ দশমিক ৭২ শতাংশ কমে দরপতনের শীর্ষে উঠে আসে সমতা লেদার। সাফকো স্পিনিংয়ের দর চার দশমিক ৯০ শতাংশ কমেছে। বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানির দর চার দশমিক ১৬ শতাংশ, রেনউইক যজ্ঞেশ্বরের দর তিন দশমিক ৬৬ শতাংশ, নর্দার্ণ জুটের দর তিন দশমিক ৪৭ শতাংশ, আইএফআইএল ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ডের দর তিন দশমিক ১৭ শতাংশ, মেঘনা পেটের দর দুই দশমিক ৮৫ শতাংশ, এসইএমএল এফবিএসএল গ্রোথ ফান্ডের দর দুই দশমিক ৮৫ শতাংশ, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজের দর দুই দশমিক ৭৩ শতাংশ ও স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকের দর কমেছে দুই দশমিক ৭১ শতাংশ।

অন্যদিকে সিএসইতে গতকাল সিএসসিএক্স মূল্যসূচক ১৬৫ দশমিক ১৩ পয়েন্ট বা এক দশমিক ৯৯ শতাংশ বেড়ে আট হাজার ৪৩২ দশমিক ৪৬ পয়েন্টে এবং সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৬৯ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট বা এক দশমিক ৯৭ শতাংশ বেড়ে ১৩ হাজার ৯০৩ দশমিক ২৬ পয়েন্টে অবস্থান করে। গতকাল সর্বমোট ২৬০ কোম্পানি এবং মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৯৪টির, কমেছে ৪২টির, অপরিবর্তিত ছিল ২৪টির দর।

সিএসইতে এদিন ৭৩ কোটি ৩৯ লাখ ৫৬ হাজার ৩৮ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১৯ কোটি ৩৬ লাখ এক হাজার ২৮০ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ৫৪ কোটি টাকা।

সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে অবস্থান করে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ। কোম্পানিটির ৪৭ কোটি ২৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। এরপরের অবস্থানগুলোতে থাকা অ্যাডভেন্ট ফার্মার এক কোটি ৯১ লাখ, এসএস স্টিলের এক কোটি ৩২ লাখ, ডরিন পাওয়ারের এক কোটি ৯ লাখ, বেক্সিমকোর এক কোটি সাত লাখ, খুলনা পাওয়ারের ৯৪ লাখ, লাফার্জহোলসিমের ৮৮ লাখ, ফরচুন শুজের ৮৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০