সফর শেষে এডিবি ভাইস প্রেসিডেন্ট: প্রকল্প বাস্তবায়ন বাড়ালে সহায়তাও বাড়ানো হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক: এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়েনচাই ঝাং বলেছেন, চলতি বছর সংস্থাটি বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ১৮০ থেকে ২০০ কোটি ডলার ঋণসহায়তা দেবে। আর প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যক্রমে গতিসঞ্চার হলে এ সহায়তা আরও বাড়ানো হবে।

তিন দিনের সফর শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার এডিবির ঢাকা কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর কাজুহিকু হিগুচি, ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর চাই লিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ওয়েনচাই ঝাং বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে এডিবি সহায়তার হাত প্রসারিত করে রেখেছে। বিশেষ করে, আঞ্চলিক যোগাযোগ বৃদ্ধি ও আন্তদেশীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন কার্যক্রম বাড়াতে সহায়তা দিচ্ছে। এছাড়া রেলওয়ে ও সড়ক যোগাযোগের উন্নয়নে অব্যাহতভাবে ঋণসহায়তা দিচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার প্রণীত সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার লক্ষ্য বাস্তবায়নে ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল মেয়াদে ৮০০ কোটি ডলার ঋণসহায়তা দেওয়া হবে। আর বাংলাদেশ প্রকল্প বাস্তবায়ন বাড়াতে পারলে প্রয়োজন অনুযায়ী এ সহায়তা আরও বাড়ানো হবে। এর ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সালে প্রায় ১১০ কোটি ডলার ঋণসহায়তা দেওয়া হয়েছে।

মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির বিষয়ে তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশ ৬ দশমিক ৯ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে বলে এডিবি প্রাক্কলন করেছে। তবে সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় সরকারের প্রাক্কলন ৭ দশমিক ২ শতাংশ। অব্যাহত হারে উচ্চ প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখতে বেসরকারি খাতের ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে।

চলতি অর্থবছরে নির্দিষ্টভাবে কত শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে সবাই অনুমান করতে পারে। নির্দিষ্ট করে কেউ বলতে পারে না কত শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে।

ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হওয়ার ক্ষেত্রে প্রধান ইঞ্জিন হিসেবে কাজ করবে বেসরকারি বিনিয়োগ। তাই এ বিনিয়োগ টানতে বাংলাদেশকে জ্বালানি, অবকাঠামো ও যোগাযোগ খাতে অনেক উন্নয়ন করতে হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের আগামী ২৫ বছরের এ যাত্রায় প্রতিটি পদক্ষেপে অর্থনৈতিক সহায়তা দিয়ে পাশে থাকবে এডিবি। বিশেষ করে জ্বালানি, অবকাঠামো এবং বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান ও নেপালের সঙ্গে আন্তদেশীয় যোগাযোগ চালু করতে সব ধরনের সহযোগিতা দেবে এডিবি।