নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলো শীতকালীন সবজিতে এখনও পরিপূর্ণ। এতে কয়েক সপ্তাহের মতো এ সপ্তাহের বাজারে স্থিতিশীল ছিল প্রায় সব ধরনের সবজির দাম। অন্যদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে পরিবর্তন এসেছে চাল ও মুদি পণ্যের দামে। গত দুই সপ্তাহে চালের দাম কেজিতে প্রায় ২ টাকা ও বোতলজাত তেলে ৫ টাকা বেড়েছে।
গতকাল শুক্রবার প্রতি লিটারের সয়াবিন তেলের বোতল ব্র্যান্ডভেদে ৫ টাকা বেড়ে ১০০ থেকে ১০৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর ৫ লিটারের বোতল ব্র্যান্ডভেদে ৫০০ থেকে ৫১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যদিও আগে সয়াবিন তেল ১ লিটারের বোতল ৯৫ থেকে ১০০ টাকা এবং ৫ লিটারের বোতল ৪৭০ থেকে ৪৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
এদিকে গত এক মাসে চালের দামও প্রতি ৫০ কেজির বস্তায় ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে বলে দাবি করছেন খুচরা বিক্রেতারা। ইতোমধ্যেই বেশি দামে চাল বিক্রি শুরু করেছেন তারা। কারওয়ান বাজারে চাল বিক্রেতারা জানান, মোটা চাল (পাইজাম) ৫০ কেজির বস্তা ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা, স্বর্ণা ১ হাজার ৭৫০ থেকে বেড়ে ১ হাজার ৮৩০ টাকা, মিনিকেট ২ হাজার ৩৫০ থেকে বেড়ে ২ হাজার ৪৫০ টাকা হয়েছে। নাজিরের বস্তা ২ হাজার ১০০ থেকে বেড়ে ২ হাজার ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ বাজারে চালের দামের বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁদপুর এজেন্সির মালিক লিয়াকত হোসেন বলেন, ‘এ বছর ধানের দাম কিছুটা বেশি ছিল, যার কারণে চালের দামও কিছুটা বেড়েছে। মূল্য সমন্বয় করতে গিয়ে দাম বাড়াতে হয়েছে মিলমালিকদের।’
এছাড়া রাজধানীর হাতিরপুল, রামপুরা বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজি পণ্যের দাম অপরিবর্তিত। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম ১০ টাকা কমে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি বেগুন ৪০-৬০ টাকা, শিম ৩০-৪০, টমেটো ৩০-৩৫, গাঁজর ৩০-৪০, পেঁয়াজের কালি ১৫-২০, চালকুমড়া ১৫-২০, কচুর লতি ৪০-৬০, মুলা ১৫-২০ এবং শালগম ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া বাজারে পটোল ও ঢেঁড়স ৪০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ঝিঙা বা চিচিঙা ৬০-৭০ টাকা, করলা ৫৫-৬০, কাকরোল ৫০, কচুরমুখি ৬০, আলু ১৮ টাকা এবং পেঁপে ১৫ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি ফুলকপি ৩০ ও বাঁধাকপি ২০-২৫ টাকা। আঁটিপ্রতি পালং শাক ১৫ টাকা, লালশাক ১৫, পুঁইশাক ২০ ও লাউশাক ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুদির বাজারে অন্যান্য পণ্যের তেমন হেরফের হয়নি। বাজারে কেজিপ্রতি দেশি মসুর ডাল ১২৫ টাকা, ভারতীয় মসুর ডাল ১১৫, মুগ ডাল (দেশি) ১২০, ভারতীয় মুগ ডাল ১১০, মাষকলাই ১৩৫ ও ছোলা ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মানভেদে আগের মতোই দেশি পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ২৫ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ২৩, দেশি রসুন ২০০, ভারতীয় রসুন ২১০ এবং চীনা রসুন ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি আদা ১৫০ ও চীনা আদা ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৬০ টাকা, লেয়ার ১৮০, দেশি মুরগি ৪০০, পাকিস্তানি লাল মুরগি কেজিপ্রতি ২৫০-২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৪৮০ টাকা এবং খাসির মাংস ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
Add Comment