নিজস্ব প্রতিবেদক: বছরের শেষে বাজারে পণ্যের দাম স্বাভাবিক রয়েছে। রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে সবজি ও মাছের দাম আগের তুলনায় কমেছে। তবে মুরগির দাম বেশ চড়া। কয়েকটি বাজার ঘুরে পণ্যটির দাম ধরনভেদে গত সপ্তাহের চেয়ে ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি লক্ষ করা গেছে।
কারওয়ানবাজারে খুচরা বিক্রেতারা ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৬০ টাকা দরে বিক্রি করছেন, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৪০ টাকা। আর লেয়ার মুরগি বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়। ধরনভেদে পাকিস্তানি কর্ক ও দেশি মুরগি আগের সপ্তাহের তুলনায় ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
দোকানি লিয়াকত বলেন, কাল থেকে নতুর বছরের আয়োজন শুরু হচ্ছে। প্রচুর চাহিদা। সেই তুলনায় কয়েক দিন ধরে সরবরাহ নেই। বিশেষ করে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে যাওয়ায় পাকিস্তানি কর্ক ও দেশি মুরগির দামেও প্রভাব পড়েছে।
আরেক বিক্রেতা বলেন, প্রতিবছরই শীতে খামারিরা উৎপাদন কমিয়ে দেন। কারণ এ সময় প্রচুর রোগবালাইয়ের আশঙ্কা থাকে। এ কারণে সরবরাহ কম বলে দাম বেড়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লার ১৬০ টাকা। আর আকারভেদে কর্ক ২০০ থেকে ২৫০ টাকা এবং মাঝারি আকারের দেশি মুরগি ২০০-২৫০ টাকায় বিক্রি করছি, যা গত সপ্তাগেও ২০ থেকে ৫০ টাকা কম ছিল।
অন্যদিকে সপ্তাহ ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচা পণ্যের দাম কিছুটা কমেছে। সকালে হাতিরপুলসহ কাঁচাবাজার দেখা গেছে সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে প্রায় ১০ টাকা করে কমেছে। কালো বেগুন ১০ টাকা কমে এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়, সাদা বেগুন ২৫ টাকায়, প্রতি কেজি শিম ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ টাকা, ঝিঙা ২৫ টাকা, করলা ৪০ টাকা, শসা ৩০ টাকা, আলু ২৫ টাকা এবং পেঁপে ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া শীতকালীন কিছু সবজির দাম কমার প্রবণতা লক্ষ করা গেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ১০ টাকা কমে প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা, চাল কুমড়া ১৫ টাকা, পেঁয়াজের কালি ২৫ টাকা, শালগম ২০-২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি ২০-২৫ টাকা; লেবু হালিপ্রতি ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহের থেকে পাঁচ টাকা কম।
সবজি ব্যবসায়ী ফিরোজ বলেন, সবজির দাম উৎপাদন এবং সরবরাহের ওপর নির্ভর করে। শীতের সময় সব ধরনের সবজি উৎপাদান হয়। ফলে সরবরাহ বেশি থাকায় দাম কমেছে।
এদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় মুদি পণ্যের দামে তেমন কোনো পরিবর্তন নেই। কেজিপ্রতি দেশি মসুর ডাল ১২৫ টাকা, ভারতীয় মসুর ডাল ৯৫ টাকা, মুগ ডাল ১০০ টাকা, অ্যাংকর ডাল ১০০ টাকা, মাষকালাই ১৩০ টাকা ও ছোলা ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৯৫ থেকে ১০২ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল কেজি প্রতি ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মসলার বাজারে মানভেদে দেশি পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৩৫ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৩০ টাকা, দেশি রসুন ২০০ টাকা এবং চীনা রসুন ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি আদা ১২০ টাকা, চীনা আদা ১৬০ টাকা,
মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে কয়েক পদের মাছের দামই কমেছে। প্রতি কেজি মাছে ২০ থেকে ৪০ টাকা কম বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। বিভিন্ন বাজারে আকারভেদে প্রতি কেজি রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছ ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, তেলাপিয়া, সিলভারকাপ ও পাঙাশ মাছ ১০০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা এবং টেংরা, কৈ, দেশি মাগুর বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকায়।
১৯৯৩ সালে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয় বাংলাদেশ জুট করপোরেশন। ওই সময় করপোরেশনের সম্পত্তি বিক্রি করে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নানা জটিলতায় তা সম্ভব হয়নি। ক্রমান্বয়ে সংস্থাটির সম্পদ ব্যবস্থাপনার কাজে জটিলতা বেড়েছে। বিলুপ্ত প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান অবস্থা নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজ শেষ পর্ব