সবজি-মুরগির দামে অস্বস্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক: সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন করে দাম না বাড়লেও রাজধানীর বাজারগুলোয় চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। সেই সঙ্গে মুরগির দাম নিয়ে অস্বস্তি তো রয়ে গেছে। ফলে সবজি ও মুরগির দাম নিম্ন আয়ের মানুষের বেশ ভোগাচ্ছে। এমন কী কেউ কেউ অভিযোগ করছেন ব্রয়লার মুরগির অস্বাভাবিক দামের কারণে তারা মাংস খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা ব্রয়লারের কেজি বিক্রি করছেন ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকায়। পাকিস্তানি কক বা সোনালির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ থেকে ৩৫০ টাকায়। আর লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দামে কোনো পরিবর্তন হয়নি।

অপরদিকে, বাজারে বেশিরভাগ সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা দাম বেড়েছে। এসব বাজারে প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১২০, বেগুন (গোল) ৮০, বেগুন (লম্বা) ৬০, ফুলকপি প্রতি পিস ৬০, করলা ৬০, টমেটো ১৫০ থেকে ১৬০ ও বরবটি ৮০ টাকায়। চায়না গাজর প্রতি কেজি ১৬০, চাল কুমড়া পিস ৪০, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০, চিচিঙ্গা ৬০, পটোল ৪০, ঢেঁড়স ৬০, কচুর লতি ৬০, কাকরোল ৬০, মুলা ৬০ ও পেঁপের কেজি ২০ টাকা।

একজন সবজি বিক্রেতা বলেন, বাজারে সবজির আমদানি কম থাকায় দাম বেড়েছে। কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা দাম বেড়েছে। সবজি বাজারের কোনো নিশ্চয়তা নেই, আগামীকাল আবার দাম কমে যেতে পারে।

আরও দেখা গেছে, বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে ১৮ থেকে ২০ টাকা কেজি। দেশি পেঁয়াজ কেজি ৭০ টাকা। ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। বাজারে গত সপ্তাহের দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়।  কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়। এছাড়া শুকনা মরিচ প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ২৫০, রসুনের কেজি ৮০ থেকে ১৩০ ও দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি। চায়না আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। কাঁচা হলুদের কেজি ১৬০ টাকা থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ইন্ডিয়ান ডাল কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। দেশি ডাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে ভোজ্যতেলের প্রতি লিটার খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। এছাড়া বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায়। প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। আটা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়। বাজারে অপরিবর্তিত আছে ডিমের দাম। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকা। সোনালি (কক) মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ১৮০ টাকা। গত সপ্তাহের থেকে ১০ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে সোনালি মুরগি। কেজি ৩৩০ টাকা। লেয়ার আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। কেজি ২৩০ টাকা।

একজন মুরগি বিক্রেতা বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মুরগির দাম। মুরগির দাম বাড়ার কারণ নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। আশা করছি শীতকালে কমবে মুরগির দাম।

এদিকে গত সপ্তাহে কেজিতে ১০ টাকা কমে পেঁয়াজের কেজি ৬৫ থেকে ৭০ টাকায় নেমে আসে। সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে আরও পাঁচ টাকা কমে এখন ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের

 দামের বিষয়ে একজন ব্যবসায়ী বলেন, বাজারে পেঁয়াজের অভাব নেই। কিন্তু ভারত থেকে পেঁয়াজ কম আসায় হুট করে দাম বেড়ে যায়। তবে সরকার আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করায় দাম কিছুটা কমেছে। নতুন আমদানি করা পেঁয়াজ বাজারে এলে দাম আরও একটু কমতে পারে।

বিষয় ➧

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০