নিজস্ব প্রতিবেদক: সব রাজনৈতিক দলকে তারা হয়তো সস্তুষ্ট করতে পারেননি। তবে কোনো অভিযোগে তিনি মোটেও বিব্রত নন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। গতকাল পাঁচ বছরের দায়িত্ব পালন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘সর্বোচ্চ নিরপেক্ষ থেকে আইনানুগভাবে সব নির্বাচন শেষ করেছি। রাজনৈতিক দলগুলো সংলাপে এসেছে, সবাইকে সময় দিয়েছি। কিন্তু পরবর্তীতে তারা নির্বাচনে যাবে না, নির্বাচন করবে না, তাই সবাইকে সন্তুষ্ট করতে পারিনি, আস্থা অর্জন করতে পারিনি।’
দুই নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম ও কবিতা খানমও এই ব্রিফিংয়ে যোগ দেন নূরুল হুদার সঙ্গে। আরেক নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী অসুস্থতার কারণে আসেননি।
আর নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বরাবরের মতোই উল্টো পথে হেঁটেছেন। সহকর্মীদের সাথে ব্রিফিংয়ে যোগ না দিয়ে দুপুরে নিজের কক্ষের বাইরে আলাদা ব্রিফিং করেছেন। পৌনে দুই ঘণ্টার সংবাদ সম্মেলনে নানা বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন বিদায়ী সিইসি নূরুল হুদা। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছেন।
কাজী রকিবউদ্দিন আহমদের উত্তরসূরি হয়ে ২০১৭ সালে এ সাংবিধানিক সংস্থার দায়িত্ব নেওয়ার সময় সবার আস্থাভাজন ছিলেন না সাবেক আমলা নূরুল হুদা। ‘আপসহীন’ থাকার ঘোষণা দিয়ে তিনি কাজ শুরু করেছিলেন, কিন্তু মেয়াদের বেশির ভাগ সময় তার জুটেছে ‘দলকানা’, ‘আজ্ঞাবহ’, ‘মেরুদণ্ডহীন’, ‘খলনায়ক’ এমন সব অভিধা।
গত পাঁচ বছরের ইসির অধীনে ভোট ব্যবস্থাপনা ভেঙে পড়া, ‘ভোটের আগের রাতে’ ভোট হওয়া, অনিয়ম, দুর্নীতি, অসদাচরণ, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বসহ নানা বিষয়ে অভিযোগ উঠলেও সেসব ‘ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেন বিদায়ী সিইসি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টায় নির্বাচনের আইনকানুন মেনে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার কোনো অভাব রাখিনি, নিরপেক্ষ নির্বাচন করেছি। এ নিয়ে বিব্রত নই, দুর্বলতা নেই।