প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ: যারা বড় হচ্ছে, লেখাপড়া করছে তাদের চাকরির অভাব হবে না। পদ্মা সেতু হওয়ার পর গোপালগঞ্জসহ এ এলাকার চেহারা পাল্টে যাবে। অসংখ্য কারখানা হবে এখানে। সে সময় সব ছেলেমেয়ের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। ইতোমধ্যে এখানে কর্মসংস্থানের জন্য একটি ফার্মাসিউটিক্যাল ফ্যাক্টরি তৈরি করে দিয়েছে সরকার। আপনাদের আর দুশ্চিন্তা করতে হবে না। বাংলাদেশের ৬১ ভাগ মানুষ কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী। যারা লেখাপড়া করেছে সরকার তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে ভালো চাকরি পাওয়ার ব্যবস্থা করবে। সে সঙ্গে যারা শিক্ষিত নয়, তারাও যাতে কিছু করে খেতে পারে সে ব্যবস্থাও করবে বর্তমান সরকার। মুজিববর্ষে সরকারের অন্যতম অঙ্গীকার সবার কর্মসংস্থান। সারা বিশ্বে মানুষ কর্মসংস্থানের জন্য অনেক কষ্ট করে। তারা কাজ করার মানুষ পায় না। আমাদের এখানে মানুষ অনেক আছে কিন্তু কর্মসংস্থানের অভাব রয়েছে। তাই তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে, এটাই আমাদের অঙ্গীকার। গতকাল বিকালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব কথা বলেন।
এর আগে বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্ট তার পরিবারের নিহত সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন তিনি। জাতির জনকের জš§শতবার্ষিকী উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়াকে কেন্দ্র করে বিশেষ পদক্ষেপের উদ্দেশে টুঙ্গিপাড়ার বিভিন্ন এলাকা তিনি পরিদর্শন করেন। এছাড়া ঢাকা থেকে টুঙ্গিপাড়া যাওয়ার পথে সকালে তিনি নির্মাণাধীন পদ্মা সেতু পরিদর্শন করেন।
এ সময় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, অর্থ সচিব আবদুর রউফ তালুকদার, জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী এমদাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ লুৎফার রহমান বাচ্চু, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল শেখসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।