সবার প্রতি সমান আচরণের নির্দেশ সিইসির

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বলেছেন, আপনারা সবার প্রতি সমান আচরণ করবেন। কেননা, যারা প্রার্থী, তাদের পরিচয় তারা শুধুই প্রার্থী। গতকাল নির্বাচন ভবনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও গাজীপুরের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের আয়োজন করে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট।
এ সময় সিইসি বলেন, এখন বিশ্বাস করার সুযোগ ও সময় এসেছে যে, এ দেশে যারা রাজনীতি করেন, যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন, তারা নির্বাচনি আইন, আচরণবিধি মেনে করবেন। আপনারা মাঠ পর্যায়ে যারা কাজ করবেন, তাদের সাহায্য-সহযোগিতার মাধ্যমে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। আমি বিশ্বাস করি এবং আস্থা রাখি, সে রকম একটি পরিবেশ দেশে সৃষ্টি হয়েছে। সেটাকে সামনে রেখে আপনাদের কারণে তাদের আশা ও প্রত্যাশা যাতে কখনও ব্যাহত না হয়। সে দিকটায় লক্ষ্য রেখে আপনাদের দায়িত্ব হবে প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের জানানো এবং বোঝানো।
তিনি বলেন, আমরা আশা করেছিলাম একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে, আমাদের সে আশা পূর্ণ হয়েছে। আমরা আশা করেছিলাম সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হবে, সেই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা গণমাধ্যমে দেখেছি অনেক প্রভাবশালী প্রার্থী রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিসে গিয়ে সুশৃঙ্খলভাবে আবেদন জমা দিয়েছেন। প্রার্থীর সঙ্গে পাঁচজনের বেশি লোক ভেতরে গেলে আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়, কেউ সেটি লঙ্ঘন করেননি। তারা প্রত্যেকেই চারজন, পাঁচ-সাতজনের বেশি লোক নিয়ে ভেতরে ঢোকেননি। বাইরে হয়তো তাদের কিছু সমর্থক এসেছিলেন। সেটি অফিসের বাইরে। একজন প্রার্থীর সমর্থক থাকতেই পারেন। সেগুলো মোটর শোভাযাত্র, গাড়িসহ যাত্রা বা শোডাউনের পর্যায়ে পড়ে না।
যারা প্রার্থী, তাদের পরিচয় তারা শুধুই প্রার্থী। তাদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় বা ব্যক্তি পরিচয় থাকবে না। তিনি একটি প্রতীকের প্রার্থী হবেন। নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ রাখার জন্য নিশ্চিত করবেন। প্রশিক্ষণ সম্পর্কে সিইসি বলেন, আমাদের প্রায় সাড়ে তিন হাজার লোককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে প্রশিক্ষণ শেষ করা হবে। এখন প্রশিক্ষণ পাওয়ারা মাঠে গিয়ে যার যার অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করলে নির্বাচন অবশ্যই সুষ্ঠু হবে, নিরপেক্ষ হবে; নির্বাচনে ভোটারদের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটবে বলে বিশ্বাস করি।