সবার মধ্যে মন মরা মুখ গোমরা ভাব, কেন: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আন্দোলন দেখে ভয় পাবেন না। অনেকে এখন আন্দোলন, জ্বালাও পোড়াও করবে। করুক। আন্দোলন যে কেউ করতে পারে, কিন্তু জ্বালাও পোড়াও করতে দেব না। মানুষের ভাগ্য নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না। আর এই মন মরা (গোমড়া) অবস্থা দেখতে চাই না কাউকে। যেকোনো সমস্যা আসবে, সেটা মোকাবিলা করার মতো মনোবলও থাকতে হবে।

সোমবার (৩১ জুলাই) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক-২০২৩ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় স্বাধীনতার সুফল প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছি। স্বাস্থ্যসেবা সবার দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছি। শতভাগ মানুষের ঘর বাড়ি থাকবে। কেউ পিছিয়ে থাকবে না। উন্নতি হবে সবার। তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত আমাদের কাজের ছাপ রাখছি। আগে যে হাহাকার ছিল, এখন কিন্তু সেটি নেই। আগে মিটিং করতে গেলে দেখতাম, ছেঁড়া কাপড়। এখন সেটি দেখি না।

শেখ হাসিনা বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ে ঢাকায় যতটা হাহাকার, গ্রামগঞ্জে কিন্তু সেটি নেই। ২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা। আমরা পরিকল্পনা করে দিয়েছি, এখন ধাপে ধাপে বাস্তবায়নের পালা।

সরকারপ্রধান বলেন, পুরস্কার পাওয়ার পর কারও মধ্যে হাসিখুশি দেখছি না। সবার মধ্যে মন মরা, মন মরা ভাব, কেন? সবাইকে হাসিখুশি থাকতে হবে। যারা পুরস্কার পেয়েছে, অভিনন্দন। যারা পায়নি, ভবিষ্যতে পাবে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, অর্থনৈতিকভাবে প্রচণ্ড চাপ শুধু আমাদের না, বিশ্বব্যাপী। উন্নত দেশগুলোও হিমশিম খাচ্ছে। কিন্তু আমরা করোনা মোকাবিলা করে বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি। অর্থনৈতিক চাপ আছে, কিন্তু অর্থনৈতিক গতিশীলতা ধরে রেখেছি। এর পেছনে যারা কাজ করেছে, সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। আপনারা আন্তরিকভাবে কাজ করেছেন বলেই এটি সম্ভব হয়েছে।

অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নেন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০