নিজস্ব প্রতিবেদক: পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সবুজ অর্থায়ন বা গ্রিন ফাইন্যান্স বাড়ানোর ওপর জোর দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ লক্ষ্যে গঠন করা হয়েছে গ্রিন ট্রান্সফরমেশন ফান্ড (জিটিএফ)। উৎপাদন ও রপ্তানি খাতের জন্য এ তহবিল থেকে ঋণ নিতে পারবেন ব্যবসায়ীরা।
গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংক এক প্রজ্ঞাপনে জানিয়েছে, এ তহবিল থেকে ঋণ নিতে হলে ব্যাংকগুলোকে পার্টিসিপেশন চুক্তিতে আবদ্ধ হতে হবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে। ইতিপূর্বে চুক্তিতে থাকা ব্যাংকগুলোকেও পুনরায় চুক্তিবদ্ধ হতে হবে। এ জন্য চুক্তির শর্তে বেশকিছু পরিবর্তন এনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংক পরিচালিত এ ফান্ডে ইউএস ডলার ও ইউরো মুদ্রায় ঋণ নিতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। লন্ডন লাইবর ও ইইরোবর সঙ্গে এক শতাংশ সুদ চার্জেও সঙ্গে ব্যাংকগুলো এক থেকে দুই শতাংশ সুদ নিতে পারবে ব্যাংকগুলো।
সম্প্রতি ২০ কোটি ডলারের সঙ্গে ২০ কোটি ইউরো যোগ হয়েছে এ তহবিল। উদ্যোক্তাদের ঋণ প্রাপ্তিতে সহজ করবে এ তহবিল।
জানা গেছে, পরিবেশবান্ধব পণ্য উৎপাদন, রপ্তানি, উদ্যোগ ও প্রকল্পের অর্থায়নে এ তহবিলের অর্থ ব্যবহার করা যাবে। সবুজ অর্থায়নে উৎসাহ জোগাতে পুনঃঅর্থায়নের তহবিলটি তৈরি করা হয়।
এ স্কিমের আওতায় শুধু মেয়াদি ঋণের বিপরীতে পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা প্রদানযোগ্য হবে। প্রকল্পের পরামর্শক খরচ, মেরামত সংক্রান্ত ব্যয়, রক্ষণাবেক্ষণ খরচ এবং চলতি মূলধন বাবদ কোনোরূপ ব্যয় পুনঃঅর্থায়ন সুবিধার আওতায় আসবে না। ঋণখেলাপি গ্রাহক এ তহবিল সুবিধা পাবেন না।
বিতরণ করা ঋণের বিপরীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বা উন্নয়ন সহযোগীদের বা অন্য কোনো উৎস থেকে পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা প্রাপ্ত প্রকল্প এ স্কিমের আওতায় বিবেচ্য হবে না।
এ তহবিলের আওতায় পাঁচ ও আট বছর বা তদুর্ধ্ব সময়ের জন্য ঋণের ক্ষেত্রে সুদহার পৃথক হবে।