Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 6:25 pm

সবুজ বিপ্লব ঘটাতে পারে তিস্তা সেচ ক্যানেল

ডালিয়া তিস্তা সেচ ক্যানেলে মাছ ও হাঁস চাষে উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। কারিগরি দক্ষতা ও সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ক্যানেলটিকে কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারে মৎসজীবী ছাড়াও এলাকাবাসী।
নীলফামারী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবদুর রউফ এ ক্যানেলের পানীর গভীরতা, ধারণ ক্ষমতা ও আয়তন নিশ্চিত করে এ তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, মাছ চাষের জন্য এটি একটি আদর্শ ও উপযোগী ক্যানেল। মাছের বিচরণ খাদ্য আহরণ ও প্রজননের অপার সম্ভবনা রয়েছে এখানে।
নীলফামারির ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তিস্তা নদীর সেচ ক্যানেলে মাছ, হাঁস ও ব্রয়লার (মুরগি) চাষ করে বছরে পাঁচ থেকে ছয় কোটি টাকা আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। মৎস্য চাষের সবুজ বিপ্লব ঘটতে পারে তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্পের দুই হাজার কিলোমিটার সেচ ক্যানেল।
সম্ভাবনাময়ী এ সেচ খালে সরকারিভাবে মাছ চাষের উদ্যোগ নেওয়া উচিত। একই সঙ্গে হাঁস, মুরগি চাষেরও বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। সূত্র জানায়, তিস্তা প্রকল্পটি রংপুর, দিনাজপুর, নীলফামারী অঞ্চলের একটি সম্ভাবনাময় প্রজেক্ট। তিস্তা ব্যারাজ থেকে দুই হাজার কিলোমিটার সেচ ক্যানেল চলে গেছে দিনাজপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায়। এ ক্যানেলের এক কিলোমিটার করে এলাকাভিত্তিক ইজারা দেওয়া হলে সরকার রাজস্ব আয় করতে পারবে। গড়ে উঠবে এলাকাভিত্তিক ব্যাপক কর্মসংস্থান।
জেলা মৎস্য বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, প্রতি কিলোমিটারে যদি সমবায়ের ভিত্তিতে ক্যানেল তীরবর্তী স্থানীয়দের সম্পৃক্ত করে মাছ চাষ করা যায় সে ক্ষেত্রে একেকটি প্রকল্পে কমপক্ষে দুই থেকে আড়াই হাজার টন মাছ উত্তোলন করা যাবে। হাঁসের বিষ্ঠা হতে পারে মাছের খাবার অথবা কৃষির জন্য জৈব সার। সমবায় ভিত্তিতে এ প্রকল্পটি প্রণয়নের একটি মহাপরিকল্পনা নেওয়া যেতে পারে বলে মৎস্য বিশেষজ্ঞরা
ধারণা করছেন।
ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বর্ষা মৌসুমে পানিতে টইটম্বুর থাকে ক্যানেলের বিভিন্ন শাখা ও উপ-শাখা। এ সময় ক্যানেলগুলোয় পানি ধরে রেখে স্বচ্ছ ও মিঠা পানির এ জলাধারে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করা যেতে পারে।

তৈয়ব আলী সরকার