শেখ আবু তালেব: আর্থিক সমস্যায় দুই বছর ধরে লোকসান দিচ্ছে ইউনিয়ন ক্যাপিটাল লিমিটেড। ধারাবাহিকভাবে কমছে ঋণ, আমানত ও পরিচালন আয়। এমনকি দৈনন্দিন অর্থের জোগান দিতে হচ্ছে ঋণ করে। বর্তমানে সব আর্থিক সূচকে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে ইউনিয়ন ক্যাপিটাল।
২০১৯ সালে ইউনিয়ন ক্যাপিটাল প্রায় ১০৬ কোটি টাকা লোকসান করে। এর পরের বছর ২০২০ সালেও ইউনিয়ন ক্যাপিটালের লোকসান হয় ৫৩ কোটি ২৪ লাখ টাকা। ২০২১ সালের প্রথমার্ধেও (জানুয়ারি-জুন) ১৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে কমেছে ঋণ, লিজ ও এসএমই খাতে বিনিয়োগ। ২০১৯ সালে ঋণ ও লিজের স্থিতি ছিল এক হাজার ১৭৯ কোটি টাকা। এক বছর পরে ২০২০ সালে তা নেমে দাঁড়ায় এক হাজার কোটি টাকায়।
তথ্য বলছে, ইউনিয়ন ক্যাপিটালের লোকসান আরও বেশি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু খেলাপি হওয়া ঋণ পুনঃতফসিল করেছে ৮৭ কোটি টাকা। এ পরিমাণ ঋণ পুনঃতফসিল করায় প্রভিশন কম রাখতে হয়েছে। প্রভিশনের এই অর্থ যোগ হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফায়।
নেতিবাচক দক্ষতায় আমানতকারীরাও মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছেন। চার বছর ধরেই কমছে প্রতিষ্ঠানটির আমানতের পরিমাণ। ২০১৭ সালে যেখানে আমানতের পরিমাণ ছিল এক হাজার ৪৬৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা, ২০২০ সালে তা নেমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৮৯৭ কোটি ৭০ লাখ টাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ১০১ কোটি ৪২ লাখ টাকার মূলধন সংকটে রয়েছে ইউনিয়ন ক্যাপিটাল। ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি আয় ছিল এক টাকা ৪৪ পয়সা। বর্তমানে তা তিন টাকা আট পয়সা ঋণাত্মক। অর্থাৎ প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে তিন টাকার অধিক লোকসান দিচ্ছে ইউনিয়ন ক্যাপিটাল। ২০১৯ সালেও শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ছয় টাকা ১৩ পয়সা। আর ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি লোকসান (ইপিএস) হয়েছে ৮৪ পয়সা। ঋণাত্মক রয়েছে নগদ অর্থের প্রবাহ।